চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওয়ালটনের ২০ লাখ টাকার চোরাই মালামাল জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে ওয়ালটন গ্রুপের আনুমানিক ২০ লাখ টাকার চোরাই মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এসময় এর সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়। রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভোলাহাট উপজেলার ভোলাহাট বাজারে এসব মালামাল জব্দ করে।

আটককৃতরা হলেন, ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের খালেআলমপুর গ্রামের ফেরদৌস আলম জান্নু ও দানেশ আলী জনি। তারা দুজনেই মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে।

তাদের কাছ থেকে ওয়ালটনের ৩০টি বড় ফ্রিজ, ২৮টি এলইডি টিভি, ৪৩টি রাইস কুকার, ৭টি ইন্ডাকশন কুকার , ১টি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারসহ আনুমানিক ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী এই দুই ভাই কম টাকায় একটি চক্রের কাছ থেকে এগুলো কিনেছিলেন।

এ ব্যাপারে আজ বুধবার বিকালে জেলা পুলিশ লাইনে প্রেস ব্রিফিং করেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা গাড়ি চোর একটি চক্রকে নজরদারি করে আসছিলেন। ইতিমধ্যে ওই চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশকিছু ট্রাকও উদ্ধার হয়েছে।
তবে চক্রের কয়েকন সদস্য জামিন পেয়ে আবার পুরনো কারবারে ফিরে গেছেন। ওই চক্রটির ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে গিয়েই ওয়ালটনের এই মালামাল গায়েবের বিষয়টি তারা জানতে পারেন। গাড়ি চুরির এই চক্রটিই ওয়ালটনের এই মালামাল আত্মসাত করে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল।

Image may contain: 6 people
এসপি জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার মেসার্স এম আলম নামে একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির একটি কাভার্ডভ্যান ওয়ালটনের কারখানা থেকে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য নিয়ে ভোলার চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে গাড়ি চুরির ওই চক্রটির প্রলোভনে পড়েন কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার। তাই তারা চরফ্যাশান না গিয়ে মালামালগুলো ভোলাহাটে নিয়ে এসে ফেরদৌস ও দানেসকে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মালামালগুলো উদ্ধার করে এবং এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।


এসপি আরও জানান, মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ গত ৪ মার্চ কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা করেছিল। সে মামলায় ফেরদৌস ও দানেসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর উদ্ধারকৃত মালামাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

স/শা