সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
পাঁচ জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকালে দুদক থেকে তাদের চিঠি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য।
তারা হলেন – চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, কুষ্টিয়া জেলা, রাজবাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি জেলা ও পটুয়াখালী জেলার ডিসি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়ক, বিআরটিএর খাগড়াছড়ি ও পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অভিযান চালানোর পর এ চিঠি দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রনব কুমার জানান, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়কে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে অসংখ্য বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে এমন অভিযোগের ভিত্তিদে দুদক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের মাঝখানে বেশকিছু খুঁটির অস্তিত্ব পায়। দুদক টিম তাৎক্ষণিকভাবে তা অপসারণের পরামর্শ দেয়।
সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে এরইমধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং পল্লীবিদ্যুৎ খুঁটি অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
এরপর তিনি জানান, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক বায়েজিদুর রহমান খানের নেতৃত্বে সকালে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সেখানে স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক অনিয়মসহ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে রোগীদের এবং স্বজনদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেয়া হয় বলে তথ্য পায় দুদক টিম।
পরবর্তীতে কোনো বাড়তি অর্থ নেয়া হবে না এমন মুচলেকা দেয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্সিং ইনচার্জ।
খাগড়াছড়ি বিষয়ে প্রনব জানান, দুদকের কাছে অভিযোগ আসে খাগড়াছড়ি বিআরটিএ কার্যালয়ে লাগামহীন দুর্নীতি-অনিয়ম চলছে এবং গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এরই প্রেক্ষিতে পরিচালিত অভিযানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে দালাল চক্রের সদস্য সোহেল চাকমাকে চিহ্নিত করে দুদক টিম।
পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নিকট তাকে হস্তান্তর করা হয়।
প্রনব আরও জানান, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সেবা দিতে ঘুষ-লেনদেন ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
দুদক টিম সরেজমিন অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এক্ষেত্রে দালালরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগসাজশ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে।
সূত্র: যুগান্তর