চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের সভাপতি বহিষ্কারসহ কমিটি বিলুপ্ত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সাভারে বাজারের দোকান থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলরের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। একই সঙ্গে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সোমবার রাতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আতিকের বাড়ি সাভারের আড়াপাড়ায় বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা জেলা উত্তরের অধীন সাভার উপজেলা শাখার স্থগিত কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিককে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো এবং সেই সঙ্গে ঢাকা জেলা উত্তরের অধীন সাভার উপজেলা শাখার স্থগিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

গত সোমবার রাতে সাভারের কাতলাপুরে চাঁদাবাজির ঘটনায় ছাত্রলীগ ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ছাত্রলীগের ৫টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলরের সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।

অভিযোগ রয়েছে, সাভারের উলাইলে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন দোকান ও মসজিদ থেকে দুই থেকে ৩০০ করে চাঁদা আদায় করতেন সাভারের পৌর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা টিপু সুলতান। এ সময় দোকানিদের চাঁদা দিতে নিষেধ করেন সাভার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল ছাত্তার ও তার সমর্থকরা।

এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে কাউন্সিলরের নাতি আসিফের কাতলাপুরের বাসায় হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় এলাকাবাসী একজোট হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা পাঁচটি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা এ সময় তাদের ফেলে যাওয়া পাঁচটি মোটরসাইকেলই রাস্তায় ফেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে গত রোববার থেকে উলাইল বাজারে দোকানিরা দোকানপাট বন্ধ করে রেখেছেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আতিকুর রহমানকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

এছাড়া আতিকের বিরুদ্ধে হত্যা ও পুলিশ পেটানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গেছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ সংগঠনটি এখন একটি স্বচ্ছ সংগঠন। এখানে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিদের ঠাঁই নেই।

সাভার মডেল থানার ওসি মোহসিনুল কাদির জানান, এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা নেয়া হয়নি।