চল্লিশ বছরে হলেও জাতীয় দলে ফিরতে চান আশরাফুল

আর সপ্তাহ তিনেক পর তার বয়সের কাঁটা ছুঁয়ে ফেলবে ৩৬। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ বয়সে অনেকে ছেড়ে দেন ঘরোয়া ক্রিকেটও। তবে মোহাম্মদ আশরাফুলের ভাবনা আবার ভিন্ন। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি এখনও স্বপ্ন দেখে যান জাতীয় দলে ফেরার।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে করা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাজা ভোগ করে ২০১৮ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন আশরাফুল। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নের কথা। কিন্তু প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তেমন চমকপ্রদ কিছু করতে পারেননি আশরাফুল।

যার ফলে জাতীয় দল দূরে, এইচপি বা এ দলের আশপাশেও দেখে মেলেনি আশরাফুলের। এতে অবশ্য দমে যাননি তিনি। আশরাফুলের মতে, বয়স ৪০ হয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব। তাই তিনি হাল ছাড়তে চান না। বরং অপেক্ষা করতে চান নিজের সুযোগের।

মঙ্গলবার ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভে এ আশার কথা জানিয়েছেন আশরাফুল। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে নিচ্ছেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিককে। যিনি ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করে খেলে যাচ্ছেন এখনও।

সে ভাবনায় আশরাফুল বলেন, ‘ফিটনেস ঠিক থাকলে আরও ৩-৪ বছর চেষ্টা করব। যেহেতু আমি ব্যাটসম্যান, আর বিশ্ব ক্রিকেটের সবাইকে তো দেখছি, চল্লিশের পরও অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। শোয়েব মালিকের কথা যদি ধরেন, ১৯৯৯ সালে ডেব্যু হয়েছিল, এখনও খেলছে।’

আশরাফুল আরও যোগ করেন, ‘তার সাথের অনেকেই কোচ-নির্বাচক হয়ে গেছে। যেহেতু আমি খুব অল্প বয়সে, ১৭ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছি, আর যেহেতু আমি ব্যাটসম্যান, আরও তিন-চার বছর অপেক্ষা করব জাতীয় দলে ফিরতে।’

এ সময় তিনি জানান ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলতে পারলে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির বদলে টেস্ট দিয়েই ফেরার সম্ভাবনা বেশি থাকবে তার, ‘যেহেতু বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে, লংগার ভার্সন ক্রিকেটই বেশি সম্ভাবনা। যদি ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভালো খেলতে পারি, যদি প্রচুর রান করতে পারি, হয়তো টেস্ট ক্রিকেট দিয়েই ফেরার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ