চলছে পরীমণি ও বুবলীর ‘কথা’র যুদ্ধ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

একমাত্র সন্তান রাজ্যের প্রথম জন্মদিনে তাকে নিয়ে আবেগঘন একটি চিঠি প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। স্লাইড ভিডিওতে নিজেই পাঠ করেন চিঠিটি। ভিডিওতে তুলে ধরা হয় পরী আর রাজ্যের বিভিন্ন স্মৃতি।

এদিকে, নায়িকা শবনম বুবলীও তার সন্তান বীরের জন্মদিনে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। দুজনের ভিডিওর কথা, মিউজিক প্রায় একইরকম। ভিডিও প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেসবুকে পোস্ট দেন পরীমণি। পাল্টা জবাবও দেন বুবলী। তবে কেউ কারো নাম নিচ্ছেন না! কিন্তু নেটিজেনরা মিলিয়ে নিচ্ছে কে, কাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলছে।

ছেলেকে নিয়ে বুবলীর ভিডিও প্রকাশ্যের ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই পরীমণি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আপা গো আপা! পুরাটাই কপি মারলেন! কথা, মিউজিক লাইন, ভয়েস টোন ডেলিভারি থেকে সব! কিন্তু আবেগ তো কপি করা যায় না আপা!’

এরপর উত্তর আসে বুবলীর পক্ষ থেকে। দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘পাশের দেশগুলো টালিউড বা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে লাস্ট কয়েক বছর মিল থাকছে অধিকাংশ বিয়েতে যেখানে বিয়ের ড্রেসের কালার, অ্যারেঞ্জমেন্ট, বর কনের আসা থেকে শুরু করে অনেক প্রেজেন্টেশনেই মিল থাকছে, পৃথিবীতে অনেক সিনেমা আছে যার গল্প অন্য গল্পের সঙ্গে অনেক মিলে যায়।’

যোগ করে আরও লিখেন, ‘কাছাকাছি মিলে, একদম মিলে, এরকম বহু বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। তেমনি মা সন্তান নিয়ে পৃথিবীতে অনেক ইমোশনাল ভিডিও এবং অডিও আছে যার ভাষা একই কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারও কোনো অসুবিধা নাই।’

সিন্ডিকেট নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘শুধু এই সিন্ডিকেট চামোচগুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয় যে এরাই ২/১ জন শুধু মা হইছে, আর কেউ মা হয়নি, তাদের শুধু লেবার পেইন হয়েছিল আর কারও হয়নি, তাদের পারিবারিক যুদ্ধ, সন্তানের স্মৃতি, জীবন সংগ্রাম, কষ্ট, ঘর গোছানো, খাওয়ানো সব কিছু স্বাভাবিক কিন্তু আর কারও এরকম হয় না, তারাই খাবার খাওয়ার পর প্রেসার আসলে ফ্রেশরুমে দৌড় দিবে কিন্তু আর কেউ যাইতে পারবে না, তারাই লাল, নীল, হলুদ রং পরবে আর কেউ পরতে পারবে না, তারাই হাসবে, কাঁদবে, ঘুমাবে, আর কেউ পারবে না, যদি আপনি পারেন তাহলে আপনার আবেগ নাই, বিবেক ও নাই, শুধু কপি আছে।’

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে পরীমণি আবার সেকথার উত্তরও দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘হিহিহি একটি শিক্ষিত বকরির গরুর রচনাহ! কি লিখতে, কি লিখতেছে বেচারি। চিপায় আটকাইলে মানুষ আবোল-তাবোল লজিক দিতে থাকে বুঝলাম। কিন্তু তাই বলে এই রকম আউলা-বাউলা কি কি সব লিখল ভাই! পরে কখনো নিজে পড়ে নিজেই বুঝবে না যে কি লিখছিল। আমি শিউর।’