চলচ্চিত্রের লগ্নিকারীদের ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা এখন সবার

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চলচ্চিত্রের বর্তমান নাজুক অবস্থায় অনেকেই বলছেন ২০১৯-এ নতুন ছবি রিলিজের চেয়ে বেশি ছিল হল বন্ধ হওয়ার ঘটনা। এই অবস্থায় সারাবছর ফ্লপ ছবি গোনার চেয়ে সহজ ছিল সহজ ছিল হিট ছবি গোনা। কারণ সবেধন নীলমণি হিসেবে শাকিব খানের ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিই ছিল একমাত্র ব্যবসাসফল ছবি। তবে বর্তমান চলচ্চিত্রের সঙ্কট দূর করতে হলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চলচ্চিত্রের আয় বাড়ানোর ব্যাপারে নজর দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এর পাশাপাশি মধ্যবিত্ত দর্শকরা যারা দীর্ঘদিন হলে গিয়ে সিনেমা দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তাদের জন্য মাল্টিপ্লেক্স তৈরি করার দিকেই সকলে গুরুত্ব দিয়েছেন।

বরেণ্য চিত্রপরিচালক কাজী হায়াত্ অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, ‘চলচ্চিত্র বাঁচাতে হলে সিনেমা হলে দর্শক পাঠানোর ব্যবস্থা করাটা জরুরি। টিভি বা অন্য মাধ্যমে ছবি বিক্রি করে প্রযোজক টাকা উপার্জন করতে পারবে ঠিকই, কিন্তু ফিল্ম তো শুধুই ব্যবসা না। এটা একটা কালচার।

তাই সিনেমা হলের পরিবেশ উন্নত করাটা এ সময়ে ভীষণ জরুরী।’ তরুণ জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফি বলেন, ‘সিনেমা হলের পরিবেশ তো একটা বড় ফ্যাক্টর। এটা প্রধান দাবি। তবে এর চেয়েও বেশি জরুরি ছবির কন্টেন্ট ভালো হওয়া। এখন আমরা ছবির গল্প , ছবির নির্মাণ দুর্বল করবো, আবার বলবো আমাদের সিনেমা হলে ভালো বসার জায়গা নেই, এসি নেই বলে দর্শকরা আসছে না। তাহলে আমি বলবো বোকার স্বর্গে বাস করা হবে।’

অন্যদিকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বড় বাঁধা বলে মনে করেন সিনেমা হল পাওয়া নিয়ে নানা কুটকৌশল। ফিল্মি পলিটিক্স’ নামে পরিচিত এই কুটকৌশলে অনেকেই নিজেকে অসহায় মনে করেন। অথচ নামে মাত্র কিছু হলের ভেতরেও এ ধরনের কুটকৌশলে কে বা কারা এর নিয়ন্ত্রক সে কথা কেউ মুখে আনেন না।

স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্ণধার মাহবুবুর রহমান জানিয়েছে, ২০২০-এর ভেতরে আরো কয়েকটি শহরে এক ডজনেরও বেশি সিনেমা হল চালু করবেন। সরকারিভাবেই বিভিন্ন জেলা সদরে মাল্টিপ্লেক্সের কাজ চলছে। তাই নতুন বছরে এর পাশাপাশি নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, অ্যামাজন প্রাইম থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এয়ারবাসসহ বিকল্প মাধ্যমে প্রদর্শনের চুক্তির মাধ্যমে আমাদের চলচ্চিত্রের লগ্নিকারীদের ঝুঁকি কমবে বলে আশা করছেন সকলে।

চলচ্চিত্রের সঙ্কট সমাধানে

১. চলচ্চিত্রের গল্প-নির্মাণশৈলীর মান উন্নয়ন

২. জেলাভিত্তিক মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ ও এর শেয়ারমানি নিয়ে উভয়পক্ষের সুবিধা অনুযায়ী চুক্তি করা।

৩.বিকল্প আয় হিসেবে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনসহ একাধিক প্লাটফর্মে এর কপিরাইট বিক্রি

৪. ইউটিউব/ফেসবুকে ছবির প্রচার থেকে শুরু করে ছবি রিলিজের পর আয় নিশ্চিত করা