চতুর্থ স্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয়া ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক সবুজের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জেসমিন বেগম নামের ভুক্তভোগী নারী।

তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক সবুজ যৌতুকের দাবিতে প্রথম স্ত্রী পারুলকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে। পরে আরও দুটি বিয়ে করে যৌতুক হাতিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। তিনি সবুজের চতুর্থ স্ত্রী। যৌতুকের দাবিতে তিনিও নির্যাতনের শিকার এবং মৃত্যুর হুমকির মুখে।

জেসমিন বেগম বলেন, ‘প্রথম স্ত্রী মরিয়ম খাতুন পারুলের মৃত্যুর পর দুই সন্তানসহ কষ্টে আছে এবং বিভিন্ন ধরনের আবেগঘন কথাবার্তা বলে সবুজ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমিও তখন স্বামীহারা। ফলে ২০১৯ সালে ২৭ ডিসেম্বর তাকে বিয়ে করি। কয়েকদিনের মাথায় আমার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। যৌতুকের দাবিতে আমার ওপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে সবুজ। বাধ্য হয়ে আমি সাত লাখ টাকা দিই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন ভালো থাকার পর আবার টাকা চাইতে শুরু করে। ধাপে ধাপে সে আমার গহনা, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে টাকা হজম করে। শুধুই তাই নয় সবুজ আমার সঙ্গে সংসার করাকালে ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার দোহারের লাবনী নামের আরেক মেয়েকে বিয়ে করে। এসব জেনে আমি আর সবুজকে টাকা দিতে রাজি হইনি। এরপর সে আমাকে ২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বের করে দেয়।’

জেসমিন বলেন, ‘আমি বাধ্য হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করি। পরে আরও দুটি মামলা করি। ৯ মার্চ পুলিশ হেডকোর্য়াটারে বরাবর অভিযোগও করি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাইনি। এসব জেনে সবুজ ২২ মার্চ আমার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করে। সবুজ ওই সব মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।’

তিনি জানান, সবুজের প্রথম স্ত্রী মরিয়ম খাতুন পারুলের মৃত্যুর পর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় সবুজ। পরে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই পারুল হত্যার বিচার চেয়ে তার বাবা আদালতে মামলা করেন। এমনকি ওই হত্যার বিচার চেয়ে তারা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। পারুলের মতো এখন তিনিও মৃত্যুর হুমকির মুখে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেসমিন বেগমের আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: জাগো নিউজ