সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্কুলের মালির বিরুদ্ধে।
রোববার দুপুরে উপজেলার কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংক থেকে মূমুর্ষূ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী স্কুলের মালি আপন চন্দ্রকে (৫৫) আটক করে পুলিশে দেয়। আপন চন্দ্র পার্শ্ববর্তী ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মালি বাড়ির উমেশ চন্দ্রের ছেলে।
ওই ছাত্রীর চাচা জানান, কাটিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে তার ভাতিজি। আর ভাইপো পড়ে পার্শ্ববর্তী কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে।
দুপুরে তার ভাতিজি এক বান্ধবীকে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া বড় ভাইকে খাবার দিতে গেলে মালি আপন চন্দ্র তাকে স্কুলের দোতালায় নিয়ে যায় এবং তার বান্ধবীকে চলে যেতে বলে।
ছাত্রীর চাচা জানান, তার ভাতিজি ফিরে না আসায় স্কুলের শিক্ষক ও তার বাবা খুঁজতে স্কুলে যায়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে ঢাকনা সরিয়ে তাকে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, মালি ছুরি দিয়ে আমার ভাতিজিকে আঘাত করেএবং কপালে ও কানে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেছে।
উদ্ধারের পর মেয়েটিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এক কর্মকর্তা জানান, মেয়েটিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার গলা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, স্থানীয়রা ওই মালিকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। তবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।