চক্ষুরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

চোখ মহান আল্লাহর মহামূল্যবান নিয়ামত। সঠিক নিয়মে এর যত্ন নেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। নবীজি (সা.) চোখের যত্ন নিতেন। তিনি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে চোখ পরিষ্কার রাখার জন্য একটি বিশেষ ধরনের সুরমা ব্যবহার করতেন।

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ইছমিদ সুরমা ব্যবহার করো। কারণ তা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে ও পরিষ্কার রাখে এবং অধিক ভ্রু উৎপন্ন করে (ভ্রু উদগত হয়)। ইবনে আব্বাস (রা.) আরো বলেন, মহানবী (সা.)-এর একটি সুরমাদানি ছিল। প্রত্যেক রাতে (ঘুমানোর আগে) ডান চোখে তিনবার এবং বাম চোখে তিনবার সুরমা লাগাতেন। ’ (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ৪১)

ইদানীং সারা দেশে চোখের রোগ কনজাংকটিভা বা চোখের প্রদাহ ছড়িয়ে পড়েছে। একে চোখ ওঠা রোগও বলা হয়। আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। তবে শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি। কারো এ ধরনের রোগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

এই রোগটি মানুষকে ভীষণ কষ্ট দেয়, তাই এই রোগ হলেই দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে ধৈর্যসহকারে এই সাময়িক কষ্টের প্রতিদান পাওয়ার আশা করা উচিত। হাদিস শরিফে আছে, চোখের রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ যদি ধৈর্যধারণ করে এবং আল্লাহর কাছে সওয়াবের প্রত্যাশা করে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাত দেবেন।

যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, একবার আমার চক্ষুরোগ হলো, তখন নবীজি (সা.) আমাকে দেখতে এলেন। তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বলেন, যায়েদ, এভাবে যদি তোমার চক্ষুরোগ অব্যাহত থাকে তবে তুমি কী করবে? আমি বললাম, আমি সবর করব এবং সাওয়াবের প্রত্যাশা করব। তিনি বলেন, এভাবে তোমার চক্ষুরোগ যদি অব্যাহত থাকে আর তুমি তাতে সবর করো (ধৈর্য ধরো) ও সাওয়াবের প্রত্যাশা করো, তবে তুমি এর বিনিময়ে জান্নাত লাভ করবে। ’ (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৩৪)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আনাস (রা.) বলেন, আমি মহানবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে আল্লাহ তাআলা (কিয়ামতের দিন) বলবেন, ‘যখন আমি আমার বান্দাকে তার প্রিয় বস্তু দুটির পরীক্ষায় (অর্থাৎ, চক্ষুদ্বয়ের পীড়ায় বা অন্ধ হয়ে যাওয়ার মুসিবতে) লিপ্ত করেছি, আর তাতেও সে ধৈর্যধারণ করেছে, বিনিময়ে (আজ) আমি তাকে বেহেশত প্রদান করলাম। ’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৩৬)

তাই চোখের রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করি। এবং সাময়িক কষ্টে অধৈর্য না হয়ে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই ও সওয়াবের আশা করি।

 

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ