অসময়ে পদ্মায় ভাঙন

চকরাজাপুর স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্লাসে মন দিতে পারছে না

আমানুল হক আমান, বাঘা :
অসময়ে ভাঙনের মুখে চকরাজাপুর হাইস্কুল। যে কোনো মুহূর্তে স্কুলটি পদ্মা নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার ভয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে মন দিতে পারছে না। ইতিমধ্যেই স্কুলের মাঠ ও চারটি টিনের ঘর পদ্মায় চলে গেছে।

জানা যায়, স্কুলটি ১৯৭৮ সালে স্থাপিত হয়েছে। ভাঙনের কারণে ১৯৯৮ সালে, ২০১২ সালে ও ২০১৮ সালে স্থানান্তর করা হয়। এবারো ভাঙনের কারণে স্থানান্তর করতে হবে।

এ বিষয়ে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) চকরাজাপুর হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, অসময়ে পদ্মার ভাঙনের মুখে পড়েছে স্কুল। পদ্মার ভাঙন থেকে স্কুলের মাঠ ও টিনের ঘর পদ্মায় চলে গেছে। যে কোনো সময় পাকা ভবন পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। অনেক শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্লাসে মন দিতে পারছেনা।

চকরাজাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, এই স্কুলে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৩৭ জন। পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে স্কুলের মাঠ পদ্মায় চলে গেছে। চার কক্ষের টিনের ঘর সরিয়ে নিয়েছি। স্কুলের ৩ কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবন ও টিনের আরও ৪ কক্ষ ঘর ভাঙনের মুখে অবস্থান করছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডিএম মনোয়ার বাবলু দেওয়ান বলেন, অসময়ে ভাঙনের কারণে চকরাজাপুর, কালিদাসখালী, লক্ষ্মীনগর মৌজার চিহ্ন হারিয়ে গেছে। বর্তমানে এগুলোর স্থান বলতে কিছু নেই। সম্পূর্ণটা নদীগর্ভে চলে গেছে।

এছাড়া অসময়ে ভাঙনে চকরাজাপুর চরের শতাধিক বাড়িঘর ও শত শত বিঘা জমিতে রোপণ করা আমবাগান, কুলবাগান, পেয়ারাবাগান, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।