ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দশমিনার শিক্ষা কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. জাহিদ হোসেন দুই কোটি টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফসিউল্লাহর নির্দেশে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) আবদুল আলিম এ বদলির আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (প্রশাসন-১) উপপরিচালক দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর।

সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মু. জাহিদ হোসেনের ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়েযুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন তৃতীয় ধাপে গেজেটভুক্ত হওয়া ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৩ শিক্ষিকার কাছ থেকে এক রকম জোরপূর্বক চেকের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি টাকা ঘুষ হাতিয়ে নেন। পরে এই ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীদের চাকরিচ্যুতিসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

১০ জুন যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদ হোসনকে জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দিলে শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-১) আবদুল আলিম তাকে বদলির আদেশ দেন।

একই সঙ্গে ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (প্রশাসন-১) উপপরিচালক দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর।

 

সুত্রঃ যুগান্তর