ঘুষের জন্য কৃষি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার কাণ্ড!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় কৃষিঋণ নিতে গিয়ে ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় এক কৃষককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কৃষি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ওই কৃষকের স্বজনদের তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় থানা-পুলিশ ব্যাংকে গিয়ে ওই কৃষককে উদ্ধার করে এবং ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে আটক করে। আটক দুই কর্মকর্তা হলেন শাহ আলম ও আবদুর রহিম।

আজ সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে বলেন, সকালে তিনি ৪০ হাজার টাকা কৃষিঋণের জন্য কৃষি ব্যাংকের চাটখিল শাখায় যান। সারা দিনই তিনি ব্যাংকে ছিলেন। বিকেলে তাঁর হাতে ঋণের ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ সময় দুই কর্মকর্তা শাহ আলম ও আবদুর রহিম ঘুষ বাবদ প্রথমে আট হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি তা দিতে অস্বীকার করায় টাকার অঙ্ক সাড়ে পাঁচ হাজারে গিয়ে ঠেকে। জাহাঙ্গীর তা-ও দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘুষের টাকা নিয়ে ওই দুই কর্মকর্তা দর-কষাকষি করতে থাকেন। সন্ধ্যা হয়ে গেলে তাঁরা ব্যাংকের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তিনি ঘটনাটি ফোন করে বাড়িতে তাঁর স্বজনদের জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

কৃষি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার বলেন, ‘৪০ হাজার টাকা ঋণের জন্য এক ব্যক্তি কৃষি ব্যাংকে গেলে আট হাজার টাকা ঘুষের জন্য তাঁকে সারা দিন নাকি আটকে রাখা হয়েছে’—এমন তথ্য পায় পুলিশ। পরে পুলিশ ব্যাংকে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এবং ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি ব্যাংকের চাটখিল শাখার ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বলেন, বিকেল সাড়ে চারটায় তিনি ব্যাংক থেকে বের হন। তখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো বিষয় তাঁর নজরে পড়েনি। ওই ঋণগ্রহীতাও তাঁর কাছে ঘুষ দাবির কোনো অভিযোগ করেননি। বৃহস্পতিবার তিনি ব্যাংকে গিয়ে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। আটক শাহ আলম ও আবদুর রহিম ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যবস্থাপক। প্রথম আলোক