ঘাতকের কোপে শিক্ষা নগরীতেই গেলো প্রাণ: বাড়ি ফেরা হলো না মেধাবী রাব্বির

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফারদিন ইসনা আশারিয়া রাব্বি (২২)। তিনি রাজশাহী সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র‌। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার মমিনপুর গ্রামে। মেধাবী এই শিক্ষার্থী নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার একটি মেসে থাকতেন। ঈদের ছুটিতে মেস থেকে বের হয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

কিন্তু খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। মেস থেকে বের হয়ে কিছু দূর যেতেই তার মাথায় পড়ে ঘাতকের ধারালো অস্ত্রের কোপ। এতে শিক্ষা নগরীর রাস্তায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন রাব্বি। এরপর তরুণ টগবগে যুবকের প্রাণপ্রদীপও নিভে যায় মুহূর্তের মধ্যে। দ্রুত ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা নগরীতে। এরপর তুমুল আলোচনার জন্ম দেয় সামাজিক গণমাধ্যমে। শিক্ষা নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন অনেকে।


রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ভোর ছয়টার দিকে খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি ছিনতাইকারীদের আঘাতে নিহত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তাকে পেছন থেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তারর মাথার পেছনে কোপানো হয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাব্বি মেস থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে স্টেশনে যাচ্ছিলেন। ফজরের আযানের পর এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তাকে পেছন থেকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলেই ব্যাগ মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন পড়েছিল।

পরিবারের সদস্যরা মোবাইল ফোনে পুলিশকে জানিয়েছে, কলেজ ঈদের ছুটি হওয়ায় রাব্বির বাড়ি যাবার কথা আগেই জানিয়েছিলেন তার পরিবারকে। সে অনুুুুযায়ী আজ ভোরে তিনি ছাত্রাবাস থেকে বের হওয়ার সময় তার বোনের সঙ্গে কথাও বলেছিল। এর কয়েক মিনিট পরেই এ ঘটনা ঘটে।

এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা বারবার ফোন করলেও তাকে পায়নি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া তার ফোন থেকেই রাব্বির পরিবারের সঙ্গে কথা হয় পুলিশের। পুলিশের কাছেই তারা জানতে পারে, রাব্বি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস আরো জানিয়েছেন এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। রাব্বির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স/আর