শনিবার , ১৩ মার্চ ২০২১ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও কুসুমকলি এনজিওর পরিচালক; থানায় অভিযোগ

Paris
মার্চ ১৩, ২০২১ ৩:১৪ অপরাহ্ণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গ্রাহকের প্রায় ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুসুমকলি পল্লী উন্নয়ন সোসাইটি নামের এক এনজিওর পরিচালকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে উক্ত এনজিওতে কর্মরত প্রায় ৭০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পক্ষে এরিয়া ম্যানেজার নিয়ামত আলী শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, কুসুমকলি পল্লী উন্নয়ন সোসাইটি নামের এনজিওটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১১ টি শাখা নিয়ে চলছিল। উক্ত সংস্থাটির উন্নয়নের জন্য আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জনগনের মধ্যে সঞ্চয়, এফডিআর ও ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু গত ৩ মার্চ থেকে উক্ত সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলাম বিভিন্ন গ্রাহকের প্রায় ৪ কেটি টাকা আত্নসাতের লক্ষ্যে আত্নগোপনে রয়েছে। ধীরে ধীরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাহকগণ আমাদের নিকট ছুটে আসে এবং গত ৫ মার্চ ২০২১ তারিখে আমরা ২০ জন কর্মচারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলামের বাড়িতে খোঁজ নেয়ার জন্য গেলে তার স্ত্রী ও ভাই সহ কয়েকজন লোক আমাদেরকে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এমতাবস্থায় আমরা সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মিলে নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলামের সন্ধান ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহনের মাধ্যমে আত্নসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার করে গ্রাহকদের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার নিমিত্তে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

এদিকে সরেজমিনে শিবগঞ্জের ত্রিমোহনী বাজারে কুসুমকলি পল্লী উন্নয়ন সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ে গেলে কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী শত শত গ্রাহক ও দিশেহারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখা যায়। এসময় উক্ত সংস্থায় কর্মরত ম্যানেজার, এরিয়া ম্যানেজার ও বিভিন্ন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সহ ভুক্তভোগী শত শত গ্রাহক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলামকে উদ্ধার করে গ্রাহকের প্রায় ৪ কোটি টাকা ফিরিয়ে দেয়া সহ তার কঠোর শাস্তি দাবী করেন।

শিবগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে কয়েকবার অভিযোগে উল্লেখিত সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আত্নগোপনকারী খাইরুল ইসলামের বাড়িতে গেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনভাবেই তার কোন সন্ধান মেলেনি। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা আরো সহজ হবে ।

স/জে

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর