শুক্রবার , ৩০ নভেম্বর ২০১৮ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গ্রামীণ উন্নয়নে ৬৮ হাজার কোটি টাকার ৫১ প্রকল্প

Paris
নভেম্বর ৩০, ২০১৮ ৮:০০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের আগ্রহের বার্তা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছানোর দিকে বিশষ নজর দিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ৭টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নসংক্রান্ত ৫১টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এগুলোর মধ্যে আছে সড়ক উন্নয়ন, সংস্কার ও সম্প্রসারণসহ নদী ভাঙন রোধসহ গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখে এমন প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ৭টি একনেক বৈঠকে এগুলো অনুমোদন পেয়েছে।

সূত্র জানায়, এসব প্রকল্পের বেশির ভাগই সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। গ্রামীণ ভোটারদের সন্তুষ্ট করতে সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের সুপারিশই বেশিরভাগ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে নির্বাচনের আগে আগে এসব প্রকল্প অনুমোদন করা হলেও এগুলো বাস্তবায়নে অর্থের সংস্থান রাখা হয়নি। এছাড়া সরকারি হিসাবে টানাটানি থাকায় এগুলোতে অর্থ বরাদ্দও দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নির্বাচনের আগে এসব প্রকল্প শুরু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদিও প্রকল্প অনুমোদনের এক থেকে দুই মাসের মধ্যে অর্থ ছাড় করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের লিড ইকনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, একটি রাজনৈতিক সরকারের জন্য নির্বাচনের আগে গ্রামীণ প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেয়াটা অস্বাভাকি কিছু নয়। কিন্তু যেহেতু সম্প্রতি সময় তড়িঘড়ি করে বেশ কিছু গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেহেতু নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে উচিত হবে এসব প্রকল্পের যাচাই-বাছাই করা। দেখতে হবে যে উদ্দেশে প্রকল্পগুলো অনুমোদন পেয়েছে, সেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে কিনা। তাছাড়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অর্থায়নের সংস্থান কীভাবে হবে, গ্রামীণ উন্নয়নে কী ধরনের অবদান রাখবে, কিংবা ডিজাইন ঠিক আছে কিনা এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, সর্বশেষ ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় চলতি অর্থবছরের ১৪তম এবং বর্তমানের সরকারের ৫১তম একনেক বৈঠক। এতে অনুমোদন পায় ৭টি গ্রামীণ উন্নয়নসংক্রান্ত প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বৃহত্তর রাজশাহী জেলার অবকাঠামো উন্নয়ন (রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা), বৃহত্তর নোয়াখালী (নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা) পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২, ৬৪ জেলার অভ্যন্তরে ছোট নদী-খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন (১ম পর্যায়) প্রকল্প, বাঙালি-করতোয়া-ফুলজোর-হুরাসাগর নদী সিস্টেম ড্রেজিং/পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। ভোলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট স্থাপন, শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট-মান্দা প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম-খুলনা-রাজশাহী-রংপুর বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প। এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সরকার শেষ দিকে এসে যেসব প্রকল্প অনুমোদন করেছে তার মাধ্যমে ভোটারদের একটি বার্তা দিতে চাচ্ছে তারা নির্বাচিত হলে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ফলে ভোটাররা প্রভাবিত হয়ে সরকারকে ভোট দেবে। কিন্তু এগুলোর বিপরীতে কোনো অর্থের সংস্থান নেই। শুধু লোক দেখানোর জন্য এসব প্রকল্প অনুমোদন।

৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে গ্রামীণ উন্নয়নসংক্রান্ত ১২টি প্রকল্প। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ রেলওয়ে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদি পর্যন্ত ডুয়াল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়কের হারিয়াখালী থেকে শাহপরীরর দ্বীপ অংশ পুনর্নির্মাণ, প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ, বৃহত্তর কৃষ্টিয়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, পশ্চাৎপদ কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলার দারিদ্র্য দূরীকরণ, বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, কুমিলা জেলার ৫টি পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রামীণ সড়ক পুনর্বাসন, গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, ফরিদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, বৃহত্তর ঢাকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন।

৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অনুমোদন পায় গ্রামীণ উন্নয়নসংক্রান্ত ৩টি প্রকল্প। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একনেকে অনুমোদন পায় ৮টি গ্রামীণ উন্নয়নসংক্রান্ত প্রকল্প।

এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অনুমোদন পায় গ্রামীণ উন্নয়নসংক্রান্ত ৭টি প্রকল্প। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য