গ্যাং লিডারকে মুক্ত করতে জেলে অভিযান, নিহত ২৫

হাইতির রাজধানীতে একটি কারাগারে বন্দি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ওই কারাগার থেকে পালিয়েছে আরও অন্তত চার শতাধিক কয়েদি।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশটির ইতিহাসে এক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ এ সংঘাতের ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার।

শুক্রবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পোর্ট-অ-প্রিন্সের ক্রোইক্স-দেজ-বুকেটস বেসামরিক কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করে।

কারাবন্দি গ্যাং লিডার আর্নেল জোসেফকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জেলটিতে অভিযান চালায় তার অধীনস্থরা। ২০১৯ সালে গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত জোসেফ ছিলেন হাইতির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ পলাতক।

ধর্ষণ, অপহরণ, হত্যাসহ অসংখ্য অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। পালানোর পরদিন একটি নিরাপত্তা চৌকিতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় ৬০ জনকে পুনরায় আটক করতে পেরেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

বিবিসি জানায়, ক্রোইক্স-দেজ-বুকেটস কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কারাগারের পরিচালকসহ ২৫ জনের মৃত্যু হয়।

কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ক্ষমতাবান গ্যাং নেতা আর্নেল জোসেফ নিহত হয়।
পুলিশের মুখপাত্র গেরি ডেসরোজিয়ার্স জানান, মৃত্যুর পর বেড়ি পরা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। একটি মোটরসাইকেলে করে তিনি চেকপয়েন্ট দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।

তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি থামানো যায়নি এবং জোসেফ এক পুলিশ কর্মকর্তার দিকে বন্দুক তাক করে। সে সময় আত্মরক্ষার জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা জোসেফকে গুলি করেন।

খবরে বলা হয়েছে, কিভাবে কারাগার থেকে শত শত বন্দি পালিয়ে গেল তা এখনো পরিষ্কার নয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এবং এর পরপরই বন্দিরা পালাতে শুরু করে। কারাগারের কাছাকাছি থাকা এক স্টাফ জানান, কারাগার থেকে পালিয়ে আসা বন্দিরা জোর করে তাদের কাছ থেকে কাপড়-চোপড় নিয়ে গেছেন।