সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন গত ২৪ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত দিব্যি অফিস করেন। কিন্তু বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কাউকে কিছু না বলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ বিজি-৩০৫ ফ্লাইটযোগে পাড়ি জমান কানাডার টরন্টোতে। তার অফিস ত্যাগের পর থেকেই উধাও বিমানের গোপনীয় বিভিন্ন এগ্রিমেন্ট, আরআই পলিসি ও সফটওয়্যার সম্পর্কিত স্পর্শকাতর নথিপত্র। অদ্যাবধি সেসব নথিপত্রের হদিস মেলেনি।
অভিযোগ উঠেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন গোপন নথি চুরি করে নিরুদ্দেশ হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদও। আনোয়ার হোসেনের গন্তব্য জানা গেলেও সোহান আহমেদ কোথায় গিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি (নং-৬৭৭) করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাছুদুল হাছান।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম বলেন, অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। নিজেদের গা বাঁচাতে তারা নানা অসদুুপায় অবলম্বন করেছেন বলে তথ্য রয়েছে। যে কর্মকর্তা কানাডায় পালিয়েছেন, তার পাসপোর্ট বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হবে। অভিযুক্ত অন্যজন নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে রিজাইন দেওয়ায় তা গ্রহণ করা হয়নি। তারা যদি যথাসময়ে হাজির না হন এবং গোপন নথিপত্র কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে না দেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানাধীন হরিয়ায়। সপরিবারে তিনি রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন ৭ নম্বর সেকশনে বসবাস করতেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই দেশ ছেড়েছেন। আর সোহান আহমেদ সপরিবারে রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র দিয়ে কর্মস্থল ছাড়েন। অভিযুক্ত দুজনই বিমানের বিভিন্ন গোপনীয় নথিপত্রের তথ্যাদি পাচার করতে পারেন বলে সমূহ শঙ্কা রয়েছে, যা বিমানের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, বিমানের দুই কর্মকর্তার অভিযোগের বিষয়ে আমরা অবগত। জিডির তদন্ত চলছে। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
