গোদাগাড়ীর রাস্তা পরিদর্শন করলেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী

আব্দুল বাতেন, গোদাগাড়ী:

হঠাৎ রাস্তার কাজ পরিদর্শনে নেমে পড়লেন  রাজশাহী-১ গোদাগাড়ী-তনোর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য  আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। আজ সোমবার তানোর উপজেলা হতে বিকাল সাড়ে ৪ টারদিকে সেই উপজেলার রাস্তাগুলো পরিদর্শন করে ফিরছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভায় যোগদেবার উদ্দেশ্যে।

 

তিনি তানোর হতে ফেরার সময় উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে দ্বিগ্রাম নামক জায়গায় রাস্তার সংস্কার কাজ চলমান অবস্থায় গাড়ী হতে নেমে পড়েন। এসময় রাস্তা সংস্কার কাজের ঠিকাদার কোম্পানী আরবিএল-এএসজেবি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী সড়ক উন্নয়ন বিভাগের বরাদ্দকৃত সাড়ে ১৭ কিলোমিটার রাস্তাটি ১৯ কোটি টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি রাস্তাটি ভালোভাবে কাজ হচ্ছে কি না নিজেই ঠিকাদার কোম্পানীর লোককে ডেকে নিয়ে কথা বলেন কাজের মান নিয়ে।

 

রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী রাস্তায় পাথর আর পিচের কাজের মান নিয়ে একরকম অসন্তুষ্ঠ বোধ করেন। তিনি নিজেই রাস্তায় উপরে পাথর আর পিচের উপর পায়ের জুতো দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে দেখেন এবং রাস্তাটি যাতে খুবই  ভালো মানের কাজ হয় সেই জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর এমন হঠাৎ রাস্তা পরিদর্শ স্থানীয় লোকজন সেখানে ভীড় জমায় এবং মোবাইলে ছবি তুলতে থাকে। আর এসব ছবি ফেসবুকেউ ভাইরাল হয়ে যায়। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর এটিই প্রথম রাস্তা পরিদর্শন নয় এর আগেও গোদাগাড়ী-আমনুরা মহাসড়ক দিয়ে চলার সময় রাস্তার সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।

 

রাস্তা পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি, এমপির একান্ত সহকারি,গানম্যান। এসময় দলীয় কোনো নেতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নি।  এছাড়াও তানোর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার কাজের তদারকি করেছন।

 

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর এমন কাজ কে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের মতই ওমর ফারুক চৌধুরীকে ফাটাকেষ্ট বলে মন্তব্য করেন। এছাড়াও গোদাগাড়ী-তানোরের আওয়ামীলীগে নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ ফারুক চৌধুরীর এমন কাজের ভূয়সী প্রশংস করেন।

 

রাজশাহী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাড়ে ১৭ কিঃমিঃ রাস্তাটির সংস্কার কাজের জন্য ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এবং সেটার কাজ চলমান রয়েছে। রাস্তার কাজের মানের কোনো অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

স/অ