গোদাগাড়ীতে ১টি পরিবারের পরনের কাপড় ছাড়া সব পুড়ে গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি বাড়ির সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আগুন লাগার পর পরিবারের সদস্যরা কিছুই রক্ষা করতে পারেননি। আগুন থেকে শুধু তাদের পরনের কাপড় রক্ষা পেয়েছে। এর বাইরে আসবাবপত্রসহ বাড়ির সবকিছুই পুড়ে গেছে। পুড়ে মারা গেছে খামারের মুরগিও। এই খামার থেকেই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত।

বাড়ির মালিকের নাম আনিকুল ইসলাম। তিনি একজন দিনমজুর। আনিকুল জানান, রাতে মুরগির খামারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। গভীর রাতে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কাজ হয়নি। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। গোদাগাড়ী ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা এসে আগুন নেভান। কিন্তু ততক্ষণে বাড়ির সবকিছু পুড়ে ছাই।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, শুধু কিছু কংক্রিটের খুটি দাঁড়িয়ে আছে। আর পোড়েনি শুধু বাড়ির টিনের একটি দরজা। এর বাইরে বাড়ি-ঘরের দেয়ালের কোন চিহ্নই নেই। আনিকুলের স্ত্রী রিনা বেগম জানালেন, পরনের কাপড় ছাড়া তাদের কিছুই নেই। নগদ টাকা, খামারের মুরগি, আসবাবপত্রসহ সবকিছুই পুড়ে গেছে। তিনি ধারণা করছেন ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন লাখ টাকা।

পরিবারটির এমন দুরাবস্থার খবর পেয়ে দুপুরে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুর রশিদ এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল করিম শিবলীও উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে তিন বান্ডিল টিন দেয়া হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান টিনগুলো আজই পৌঁছে দেবেন। আর আমি ৩৪ কেজি খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এসেছি। দেখলাম, পরনের কাপড় ছাড়া পরিবারের সদস্যদের আর কোন কাপড়ও নেই। আমি তাদের কাপড়ও পাঠাচ্ছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলকেও জানানো হয়েছে। তিনি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন চেয়েছেন। আবেদনটি পত্রটি দেয়া হলে পরিবারটিকে নগদ টাকাসহ অন্যান্য সরকারি সহায়তা করা হবে।