গোদাগাড়ীতে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর গোদাগারীর রেল বাজার এলাকার মুদি দোকানী গোলাম মোস্তফাকে অবৈধ মাদক দ্রব্য দিয়ে ‘মিথ্যা মামলায়’ ফাঁসানোর প্রতিবাদ ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবিচদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গোদাগাড়ী রেলবাজার বনিক সমিতির সদস্য ও তার এলাকার সাধারণ মানুষ। শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর সিটি গার্ডেনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী গোলাম মোস্তফার বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “মোস্তফা স্টোর” এর মালিক (মুদি দোকান) ব্যবসায়িক গোদাগাড়ী রেল বাজার এলাকায় দীর্ঘ ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর ধরে সততা ও সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু বাইরের গ্রাম থেকে এই এলাকায় এসে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসায় সফল ও লাভবান হওয়ায় স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তিবর্গ তার ব্যবসায়িক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ বৎসর আগে মোস্তফা স্টোরে চুরির ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দোকানের সামনে রক্ষিত ভোজ্য তেলের ড্রাম চুরি হয়। চুরির বিষয়ে স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসদস্যবৃন্দসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে বার বার চুরি সংঘটিত হওয়ায় মো. গোলাম মোস্তফা কিছু দিন পূর্বে দোকানের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেন।

গোলাম মোস্তফার ভাই আরো বলেন, দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের পূর্ব-পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৮ জানুয়ারি আমার ভাই গোলাম মোস্তফার অগোচরে তার দোকানে অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন সদৃশ কিছু রেখে র‌্যাবের হাতে ধরিয়ে দেয়। যা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট। এটি একটি সাজানো নাটক বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এ সময় তিনি দোকানী মোস্তফার দোকানে ক্রেতা সেজে মাদক রেখে যাওয়া ব্যক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি এবং নির্দোষ গোলাম মোস্তফার মুক্তি দাবী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-গোলাম মোস্তফার বাবা ইসলাম আলী, মামা মইনুল ইসলাম, আবুল কালাম, স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম, ছোট ভাই শাহিন আলম প্রমূখ।

এএইচ/এস