গোদাগাড়ীতে বস্তাবন্দি শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের, একজন আটক 


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুমাইয়া মাহি নামের সাড়ে ৩ বছরের এক কন্যা শিশুকে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় হিজবুল্লাহ আব্বাস মিম (১৩) আরেক শিশুকে আটক করা হয়েছে।

নিহত সুমাইয়া মাহি উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের মিলন খানের মেয়ে। আর হত্যার সাথে জড়িত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই বোন। বুধবার সন্ধার পর আটক শিশু হিজবুল্লাহ আব্বাস মিম এর বাড়ির শয়ন ঘর থেকে মাহীর বস্তা বন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এই হত্যাকান্ডের ঘটনায়, বৃহস্পতিবার ( ১৭ নভেম্বর) নিহত মাহীর বাবা মিলন খান বাদি হয়ে হিজবুল্লাহ আব্বাস মিম (১৩) ও তার মা স্কুল শিক্ষিকা জাহানারা বেগম (৪৭) কে আসামী করে গোদাগাড়ি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং -১৯, ধারা ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার ( ১৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে অন্যান্য দিনের মতো বাড়ির পাশের্^ শিশু মাহি ও হিজবুল্লাহ খেলা করছিল। তার কি”ছুক্ষণ থেকে মাহিকে আর খুঁজে পাওয়া যা”িছলনা। অনেক খোঁজাখুঁজির কওে কোথাও পাওয়া যা”িছলনা। এর পর মাহির সন্ধান পেতে তার বাবা এলাকায় মসজিদেও মাইকে মাইকিং করে জানান যে তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যা”েছনা। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা দিকে সুমাইয়ার মা-বাবা, ভাইসহ প্রতিবেশিরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে হিজবুল্লাহ আব্বাস মিম এর বাড়িতে যান। এ সময় হিজবুল্লাহ’র ঘরে বেঞ্চের উপর বস্তাবন্দী অব¯’ায় মাহির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে বস্তাবন্দি অব¯’ায় লাশটি উদ্ধার করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় নিহত মাহীর গলায় মোবাইল চার্জারের তার দিয়ে বাঁধা ছিল। এসময় পুলিশ হত্যায় জড়িত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিমকে পুলিশ আটক করে।

নিহত শিশুর বাবা মিলন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার অবুঝ শিশুকে হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। ১১টা থেকে বিকেলের মধ্যে কোন এক সময় মাহিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। হিযবুল্লাহ আব্বাসের মা জাহানারা বেগম একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি বিকেলে বাসায় এসে আমার মেয়ের লাশ দেখে গুম করার লক্ষ্যেই বাসার মধ্যেই বস্তাবন্দি করে লাশ লুকিয়ে রাখে। আমি এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার চাই।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন জানান, সুমাইয়া মাহি নামের সাড়ে ৩ বছরের এক শিশুর বস্তা বন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত ১৩ বছরের আরেক শিশু হিযবুল্লাহ আব্বাস মিমকে আটক করা হয়েছে। শিশু মাহিকে নিজেউ হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে হিযবুল্লাহ আব্বাস। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাহিকে গলায় চার্জারের ক্যাবল পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

ওসি তদন্ত আরও জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে সুরতহাল করার সময় ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে হবে।

কেনো হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি হত্যার সাথে জড়িত হিযবুল্লাহ বখাটে ও খুবই বাজে প্রকৃতির ছেলে। সে এলাকায় যাকে তাকে মারধর করে এবং বিভিন্ন ধরণের চুরির সাথে জড়িত।

এস/আই