গোদাগাড়ীতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ: শিক্ষক আটক

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সঙ্গে দ্বিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেনীয়ান শহিদুল ইসলামকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণ ধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপার্দ করা তারা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের জৈটা বটতলা এলাকার মাদ্রাসা মাঠে জালসার আয়োজনে করে স্থানীয় জনগণ। স্থানীয় লোকজনসহ ওই এলাকার দ্বিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর  ছাত্রী আলী আহম্মদের মেয়ে তার মায়ের সাথে জালসা শুনতে যায়। এরই ফাঁকে দ্বিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেনীয়ান শহিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে স্কুল ছাত্রীটিকে প্রসাব করার কথা বলে মায়ের কাছ হতে বাড়ীতে আসার বুদ্ধি দেয়।

 

মেয়েটি তার কথা মতো বাড়ীতে আসে ও শহিদুল ইসলামও বাড়ীতে ঢুকে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটির বাড়ীতে শহিদুল ইসলামকে ঢুকতে দেখে স্থানীয় জনগণ বাড়ী ঘেরাও করে স্কুল ছাত্রী ও লাইব্রেনীয়ান কে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে।

 

এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে আনতে গেলে পুলিশেরও গাড়ী ঘেরাও করে স্কুলের শিক্ষকের এমন অনৈতিক আচরনের জন্য দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবি করে জনতা। পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে এনে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ দুজনকেই থানায় নিয়ে আসে।

আটককৃত দ্বিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেনীয়ান শহিদুল ইসলাম
আটককৃত দ্বিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেনীয়ান শহিদুল ইসলাম

স্থানীয় লোকজন জানায়, শহিদুল ইসলাম লাইব্রেনীয়ানের চাকরী করলেও বাংলা বিষয়ের ক্লাস নিতেন। এতেই দুইজনের মধ্যে প্রেমের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় দেড় বছর আগে হতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে জানা যায়।

 

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল হতে স্কুলের লাইব্রেনীয়ান লম্পট শহিদুলের স্কুল হতে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে স্থানীয় জনগণ ও স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রী।

 

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি সিল্কসিটি নিউজকে জানান,এ ঘটনায় মেয়ের মা তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করা হয়েছে বলে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত শহিদুলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 
স/শ