গোদাগাড়ীতে চার হাজার পরিবারের মাঝে খাবার তুলে দিলেন যুবলীগ নেতা সোহেল

গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯) এর পরিস্থিতিতে সারাদেশে চলছে লাগাতার লকডাউন মানুষ গৃহ বন্দি।  অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের চুলায় উঠছেনা হাঁড়ি এরমধ্যে আবার রমজান মাস সব মিলিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ম আয়ের মানুষ গুলো। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের এমন অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রীর উপহার তুলে দিচ্ছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন সোহেল।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর আস্থাভাজন উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক বেলাল উদ্দিন সোহেল ব্যক্তিগত উদ্যোগে দিনমজুর ও অস্বচ্ছল মধ্যবিত্ত ৪ হাজার পরিবারকে  খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে দুই হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রোববার তিনি দেওপাড়ার পালপুর, ঈশ্বরীপুর, ফুলবাড়ি, ভাগইল ও কদমশহর এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। সোমবার বিতরণ করেন ঈদলপুর এলাকায়। মঙ্গলবার বিতরণ করা হবে বিয়ানাবোনা,  নিমতলা, বিজয়নগর ও রাজাবাড়ি এলাকায়।
এছাড়াও ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির হট লাইনে জন্য চারটি টিমের মাধ্যমে রিকশা ও ভ্যান দিয়ে এসএমএস এবং ফোন কলের তালিকা অনুযায়ী দেওপাড়া ইউনিয়নের যে কোন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন এই যুবলীগ নেতা।
প্রতিটি এলাকায় স্থানীয় স্কুল মাঠে সামাজিক দূরত্ব মেনে মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রীর উপহার তুলে দিচ্ছেন যুবলীগ নেতা সোহেল। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে আছে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি আটা, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু এবং এক লিটার তেল।
খাদ্য সমগ্রীর এসব উপহার নিতে আসা জামিলা বেওয়া নামে এক বৃদ্ধ বিধবা নারী বলেন,আল্লাহ সোহেল ছাইলাটাকে যেন হাজার বছর বাচাইয়া রাখে। এই ছাইলাটা হামারঘে কষ্টের সময় ফেরেস্তা হইয়া আসে। এই খাবার জিনিস ছাড়াও শীত আইলে কম্বল দাই,ঈদ আসলের খাবার দাই। হমরা সুখে দুখে সব সময় ছাইলাটাকে পাই। আল্লাহ অকে বাঁচাইয়া রাখুক।
যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন,  নিজস্ব অর্থায়ন ও প্রচেষ্টায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য।
দেশের এমন করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সকলের উচিৎ অসহায় ও নিম্ম আয়ের মানুষের পাসে দাঁড়ানো, এদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও পাশে দাঁড়ানো দরকার এই কথা চিন্তা করেই পুরো ইউনিয়নের কেও যেন না খেয়ে থাকে সে জন্য সকল রকম ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। আমাকে সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থেকেছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
তিনি আরে জানান, দেওপাড়া ইউনিয়নের যে কোনও প্রান্তে থাকা মানুষ এই সহযোগিতা পাবে। আমরা নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রীর তাদের ঠিকানায় পৌঁছে দেবো। মানবিক কারণে সমাজের বিত্তবানদের নিম্ম আয়ের মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিৎ। শুধু সরকারী সহায়তার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না।