গোদাগাড়ীতে এমপির উপস্থিতিতেই কলেজ অধ্যক্ষকে পেটালেন ‍আ’লীগ নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর গোদাগাড়ী কলেজে এমপি’র উপস্থিতিতেই কলেজ অধ্যক্ষকে পিটিয়ে আহত করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আজ রবিবার সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী সরকারী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের মিটিং চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিস্তার করছে এলাকায়।

জানা গেছে, রবিবার গোদাগাড়ী সরকারী ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। সভায় গোদাগাড়ী পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের সাথে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস ও তার লোকজন গিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের উপর হামলা করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। ঘটনার পর আহত অধ্যক্ষকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হলেও পথে বাধা দেয় তার ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের অনুসারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,  গোদাগাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের ওই সভায় কলেজের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা ওঠে। এ সময় অধ্যক্ষ এসবের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ত নাই বলে দাবি করেন অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান। সেই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেন, ‘যা কিছু ঘটেছে, এমপি ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের পরামর্শেই কলেজের সব কাজ করা হয়েছে।’ অধ্যক্ষের এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ওয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস এবং তাঁর লোকজন অধ্যক্ষকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এতে অধ্যক্ষ গুরুতর আহত হোন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে কলেজে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সকে প্রথমে ঢুকতে দেননি। শেষে রাত সোয়া আটটার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স গিয়ে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন: গোদাগাড়ীতে আ.লীগের দু’গ্রুপে উত্তেজনা, দুই নেতা লাঞ্ছিত

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বিলাসী গ্রামে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে লাঞ্চিত করেন এমপির অনুসারীরা। এমপির বিপরীতের গণসংযোগ করতে যাওয়ায় তাঁদের ধরে পেটানো হয়। লাঞ্চিতের শিকার দুই নেতা হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম আতাউর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য পুলিশের সাবেক ডিআইজি মতিউর রহমান।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে  বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

স/শ