গোদাগাড়ীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ, বর কারাগারে

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে এক স্কুলছাত্রী। সেই সাথে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বরকে। আজ শনিবার (০২ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া হাজরা পুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পারেন যে, মোহনপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রমের ইসমাইল হোসেন তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।  উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের শিমলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার আলম সবুজ (১৭) সাথে বিয়ের আয়োজন করে মেয়েটির। করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম করে সামাজিক অনুষ্ঠান না করার বিধিনিষেধ থাকলেও তা না মেনেই উক্ত বিয়ের আয়োজন করা হয়।

শনিবার সকালে বরপক্ষ লোকজন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে অবহিত করেন এলাকাবাসী। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জানে আলম দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বিষয়টি টের পেয়ে বর পক্ষের লোকজন চলে যায়। তবে বর শাহরিয়ার  আলম সবুজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

পরে মেয়ের মা সালমা বেগমকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে এবং মেয়েটি সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে মেয়ের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছ থেকে মুচেলেকা নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।