সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
নাবালিকা ছাত্রীকে ক্রমাগত যৌন নির্যাতন করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সুজন মণ্ডল৷ পতিরামের ঝাপুর্সী এলাকায় বাসিন্দা দশম শ্রেনীর ছাত্রী মীরা রায়ের গৃহশিক্ষক ছিল সে৷ অভিযোগ, গৃহ শিক্ষকতার নামে দীর্ঘদিন ধরে সে যৌন নির্যাতন করছিল৷ সম্প্রতি বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ছাত্রীটি৷
আত্মহত্যার কারণ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ধন্দে পড়ে যান৷ পরে মৃত ছাত্রীর নিজে হাতে লেখা বইয়ের ভেতর পাওয়া একটি ‘সুইসাইড’ নোট থেকে জানা যায় যে,‘শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের কারণেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’ এরপরই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক৷ বুধবার দুপুরে রাস্তা থেকে বাইক সহ তাকে পাকড়াও করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
গত ২৫নভেম্বরে বিকেলে ঘরের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মীরার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে পরিবারের সকলে নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করেছিলেন। কিন্তু তাঁর খাতাপত্র ঘাঁটতে গিয়ে বইয়ের ভেতর থেকে পাওয়া সুইসাইড নোট থেকে জানা যায় যে তাঁর গৃহশিক্ষক সুজন মণ্ডল দীর্ঘদিন থেকেই তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। চিরকুটে ছাত্রীটি লিখেছে যে, অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁকে পড়ানোর নামে প্রতিদিন জড়িয়ে ধরে নানান কু-কর্ম করত।
ওই ‘সুইসাইড’ নোট উদ্ধারের পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় গুণধর গৃহশিক্ষক। এরপরই মৃতার পরিবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ মৃতার বাবা প্রতাপ রায় গুজরাটের শ্রমিক৷ মেয়েকে পড়ানোর জন্য সুজনকে ঠিক করেছিলেন তিনি৷ বেলতারা এলাকায় সুজনের বাড়িতেই পড়তে যেত সে৷ ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ সকলেই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন৷