গুরুদাসপুরে চুরির ভয়ে বাড়িতেই কবর দেয়া হলো লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক,নাটোর:
ঝড়ের সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান কাবিল নামের এক দিনমজুর। নিহতের লাশ চুরি যাওয়ার ভয়ে সামাজিক কবরস্থানে দাফন না করে নিজ বাড়িতে দাফন করে এলাকাবাসী। পরে চাঁদার টাকায় কবরটি নিচ থেকে পাঁকা করা হয়েছে।

 
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নারি বাড়ী সড়ক পাড়ার কাবিল উদ্দিন (২৮) বজ্রপাতে নিহত হয়। কাবিল উদ্দিন ওই গ্রামের বুদ্দুস আলীর ছেলে। নিহত কাবিলের লাশ নিয়ে ঘটছে অনেক কাহিনী। জনমনে এই লাশ নিয়ে প্রশ্ন উঠে বাজ পরা লাশ দিয়ে কি হয়? কেনইবা এই লাশ চুরি করে? আর এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারোরই।

 
অনেকই আবার মন্তব্য করে বলেন, বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির লাশ দিয়ে এক ধরনের ম্যাগনেট তৈরী হয়। আবার বলেন বিদেশীরা কিনে নেন! বিভিন্ন জনের বিভিন্ন প্রশ্ন ও মন্তব্যের অবশান করতেই শেষ পর্যন্ত তার লাশ চুরির ভয়ে কবরস্থ করেন তার নিজ বাড়ীতে। সেই সাথে কবরটি পাঁকাও করেন এলাকাবাসী।

 
নিহতের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, মোবাইল ফোনই তার স্বামীর জীবন কেড়ে নিল। ঝড়ের সময় কাবিল ঘরের ভিতরেই ছিল। ওই সময় সে বাম কানে মোবাইলে ফোনে কথা বলতে ছিল। হঠাৎ আলোর ঝলকানির  সাথে সাতে তার স্বামী চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। সেখানেই তার মৃত্যু  ঘটে। সেই লাশ নিয়ে অনেকেই বলে নিহতের লাশ যদি সামাজিক কবর স্থানে দাফন করা হয় তাহলে তার লাশ রাতের অন্ধকারে চুরির সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই কারনে এলাকার সব মানুষ চাঁদা-হাড়ি দিয়ে সদস্যরা মৃতের লাশ যাতে চুরি না হয় সেই জন্য নিজ বাড়ীতে কবর দিয়ে তা পাঁকা করা হয়েছে।
স/শ