দিনাজপুরের হাকিমপুরে গুপ্তধন উদ্ধারের কথা বলে এক নারীকে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই ভণ্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে আরও তিনজন। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার বিশাইনাথপুর গ্রামের মমতাজ আলীর ছেলে মেসা তালেব (৪০) ও ফয়জার রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩২)।
পুলিশ জানায়, ভণ্ড দুই কবিরাজ হাকিমপুর উপজেলায় মন্টু মিয়াকে বলেন, তার বাড়িতে গুপ্তধন আছে এবং তারা সেই গুপ্তধন তুলে দিতে পারবেন। সেজন্য একজন নারী লাগবে। কবিরাজের কথামতো মন্টু ও তার লোকজন বিরামপুর থেকে পাঁচ হাজার টাকায় এক নারীকে ভাড়া করে নিয়ে আসেন।
গত ৪ মার্চ রাতে প্রতারক দুই ভণ্ড কবিরাজ ওই নারীর শরীরে জিন হাজির করার কথা বলে রাতে নির্জন ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরদিন ওই নারী বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবকদের ঘটনা খুলে বলেন। সোমবার অভিভাবকরা ওই দুই প্রতারক কবিরাজকে ফোন দিয়ে তাদের বাড়িতে ডেকে এনে আটকে রাখেন।
পরে ভণ্ড কবিরাজের পরিবার থেকে ৯৯৯ নম্বরে কল করে তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশকে জানালে বিরামপুর থানা পুলিশ দুই কবিরাজকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার তাদের হাকিমপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়ে মঙ্গলবার ওই নারী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে হাকিমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিরামপুর থানায় আটককৃত দুইজনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি তিনজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।