সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
গুজরাতে উত্তর ভারতীয়দের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি৷ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সবাইকে একজোট হওয়ারও আহ্ববান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দোষ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ কিন্তু সবাইকে হেনস্তা করে চলে যেতে বলা ঠিক নয়৷’’গত তিন ধরে গুজরাত ছেড়েচেন প্রায় হাজার তিনেক মানুষ৷ স্টেশন জুড়ে ভিড়৷ শরীরজুড়ে আতঙ্ক৷ ঘটনার সূত্রপাত কয়েক সপ্তাহ আগের৷ অভিযোগ মেহসনায় ১৪ মাসের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে বিহারের এক বাসিন্দা৷
তার গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে মোদীর রাজ্য৷ তারপরই ধর্ষককে চেনে এই দাবিতে সেই রাজ্যে বসবাসকারী সব উত্তর ভারতীয়দের ধরে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে৷ শুধু শাসক দলের সমর্থকরাই নয়, হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও৷
গুজরাতের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদাহরণ হিসাবে বাংলার কথা তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কলকাতায় বহু ধর্ম, জাতির মানুষ থাকেন৷ কেউ অন্যায় করলে শাস্তি পাবে৷ কিন্তু সেই জাতির সবাই দোষী এটা মেনে নেওয়া যায় না৷ ভয়ঙ্কর ব্যবস্তা চলছে৷’’
স্পষ্ট না করলেও গোটা ঘটনার পিছনে কারোর উস্কানি রয়েছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সম্প্রীতির স্বার্থে পরিস্থিতি বদলের দরকার বলে এদিন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর আহ্ববান, ‘‘ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে৷ সমস্যা সমাধানে সবার এক হওয়া দরকার৷’’
বিহারীদের উপর আক্রমণের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামলাতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে ফোন করেন নীতীশ৷নারকীয় ঘটনায় দোষীকে সাস্তির দাবি জানানো হয়৷ তবে গোটা বিহারী জাতিকে হেনস্থার নিন্দা করেন তিনি৷ হস্তক্ষেপ দাবি করেন রূপানির৷ একই কারণে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও৷
তবে গুজরাটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই প্রথম মুখ খুললেন সংশ্লিষ্ট রাজ্য ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷