সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
ফেনসিডিলসহ পাঁচজনকে আটকের পর তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানার এএসআই মন্টু আহম্মেদের বিরুদ্ধে। উধাও হয়ে গেছে উদ্ধার করা ফেনসিডিলও।
আটক পাঁচজনের মধ্যে কড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর আজমাতা এলাকার মৃত দিদার আলীর ছেলে আশরাফুল আলম ওরফে আবু হানিফ (৪৫) ও কুড়িগ্রাম সদর থানার কাচি চর এলাকার মো. মোসলেমের ছেলে আব্দুল হাকিমের (২২) বিরুদ্ধে মামলা হলেও আবু হানিফ ও হাকিমের স্ত্রীসহ তিন নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে কোনাবাড়ি থানার নতুন বাজার এলাকায় সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে তিন নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেন এএসআই মন্টু আহম্মেদ। আটক আবু হানিফ ও আব্দুল হাকিমের হাতে থাকা ব্যাগে ২০ বোতল করে ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুই নারীর পিঠে বাঁধা বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ এবং এক নারীর পায়ে বিশেষভাবে বাঁধা অবস্থায় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ওই তিন নারীর কাছ থেকে ফেনসিডিল জব্দ করার পরও তাদের ছেড়ে দেন এএসআই মন্টু আহম্মেদ। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ফেনসিডিলগুলো উধাও হয়ে যায়। মামলায় আাবু হানিফ ও আব্দুল হাকিমের কাছ থেকে উদ্ধার করা ফেনসিডিল জব্দ দেখানো হয়।
এজাহারে কোনাবাড়ি থানার এএসআই মো. রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন উল্লেখ করা হলেও তিনি সেখানে ছিলেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে এএসআই মন্টু আহম্মেদ বলেন, যাদের কাছে ফেনসিডিল পাওয়া গেছে তাদেরকেই আসামি করা হয়েছে। তিন নারীর কাছ থেকে ফেনসিডিল পাওয়ার কথা সঠিক নয়।
কোনাবাড়ি থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, তিন নারীকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে তার জানা নেই।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, মাদকসহ আটক করে কাউকে এভাবে ছেড়ে দেওয়ার নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ