গাইবান্ধায় বন্যা, দুর্ভোগে বানভাসী মানুষ

সিল্কসিটিসিউজ ডেস্ক:

উজানের পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে ফলে গাইবান্ধায় তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীতে ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বুধবার সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানিও ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১ লক্ষাধিক পরিবার।

পানির প্রচণ্ড চাপে গাইবান্ধা শহররক্ষা বাঁধের অন্তত ১২টি পয়েন্টে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উজানের পানির তোড়ে জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুলছড়ির বালাসীঘাট, খলাইহারা, সৈয়দপুর, সাঘাটার উপজেলার কামারপাড়া, সিংড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন নিজের ঘরবাড়ি বাঁচাতে বালুর বস্তা ফেলে গর্তগুলোর ফাটল মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বানভাসী লোকজনের অভিযোগ, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও যাতায়াত সমস্যার কারণে অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কাগজ কলমে ৩২টি মেডিকেল টিম থাকলেও তাদের কাউকেই নজরে পড়েনি। এমনকি স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো লোকজনও আসছেন না।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার ২শ ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় এক লাখ পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামসুল (এডিসি) জানান, ত্রাণের চাহিদা অনেক বেশি। নিয়মিতভাবে বন্যার্তদের মধ্যে চাল ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ত্রাণের চাহিদা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে জরুরী তারবার্তা পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: বাংলামেইল