`গলায় পিতার ছুরি’ ফাঁস করলেন রাবি শিক্ষক জলির ছেলে সোয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাবা হয়েই ছেলের গলাই ছুরি ধরেছিলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানভীর আহমেদ। তার সাবেক স্ত্রী আকতার জাহান জলি আত্মহত‌্যার আগে লিখা সুইসাইড নোটে এমনটিই দাবি করে গেছেন। বিষয়টি এবার প্রকাশ করলেন তাদের ছেলো সোয়াদ। সে ফেসবুকে একিট পোস্ট দিয়ে বাবা যেভাবে ছুরি ধরেছিলেন, সেই ঘটনারো বর্ণনা তুলে ধরেন। সিল্কসিটি নিউজের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

 

সোয়াদ লিখেছে `অনেকদিন ধরেই আমার কাছে ওই “গলায় ছুড়ি” ধরার ঘটনাটা জানতে চাওয়া হচ্ছে। আজকেই বলেই দেই, কি ঘটেছিল ওই দিন।

 

আম্মা আর আমি বাইরে যেতে চাইসিলাম আমার এক বান্ধবীর বাসায় (বান্ধবীর নাম মেনশন করলাম না)। সারাদিন প্ল্যানিং করার পর আমি আব্বার কাছে অনুমতি চাইতে গেসিলাম। অনুমতি চাওয়ার সময় আব্বা বলে “তোমার আম্মাকে বলো ওর মত চলে যেতে। আমি তোমাকে দিয়ে আসবো”।

14479623_1121244417912103_8174800214538520014_n

আমি বললাম “আজব তো। আমি আর মা এই জিনিস প্ল্যান করসি। তুমি কেন interfere করতেসো?” আব্বা বলল “বাপ হিসেবে আমার এই অধিকার আছে”। আমি বললাম “কিন্তু আম্মার সাথে প্ল্যান নষ্ট করার অধিকারও তোমার নাই”। আব্বা বলে “main thing is….তোমাকে ওই মহিলার সাথে যেতে দিব না। গেলে আমার সাথে যাবা, নাহলে নাই”।

 

আমি বলি “কি এমন করসে যে এত ক্ষতিকর মনে করো আম্মাকে? হ্যা?” আব্বা কিছু না বলে নিজের ঘরে চলে যায়ে। পরে বাধ্য হয়ে আম্মাকে ফোন দিয়ে বলি যে আমি যেতে পারব না আজকে। মা বলে “আমি বুঝছি কি হয়েছে। চিন্তা করিস না বাবা। আর কয়েকটা দিন”। পরে সন্ধ্যা বেলায় আব্বাকে বলি “প্ল্যানটা নষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ” তখনি আব্বা বলে উঠে “তুই কি ঝগড়া লাগাইতে চাস? তোর আম্মার মত হয়েছিস”।

 

আমি বলি “আমার আম্মার নামে এইসব কথা বলবা না। খবরদার!” আব্বা বলে “তোর মায়ের সাথে কথা বন্ধ কর, এই কথাগুলাও বন্ধ হয়ে যাবে।” আমি বলি “বন্ধ করবো না!” আব্বা তখনি রান্নাঘরে গিয়ে একটা বড় চাকু নিয়ে এসে আমার গলায় ধরে বলে “কি বললি?

 

সবশেষে সোয়াদ লিখেছে `শুনতে পাইনি” বললাম অল্প শুরে “বন্ধ করবো না। মেরে ফেলতে চাইলে মারো। আম্মাকে তো আমার সামনে মারার চেষ্টা করেছো। সিউরলি এটাও পারবে।” আব্বা চাকুটা ছুড়ে মাটিতে ফেলে দিলো। কিছু না বলে চলে যায়ে ঘরে……’

 

প্রসঙ্গত: গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে জলিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার কক্ষে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করে পুলিশ। এই সূত্রে পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর থানায় আত্মহত্যায় পরোচনার মামলা করেন জলির ছোট ভাই কামরুল হাসান। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় জলির সাবেক স্বামীকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে।

স/আর