গর্ভধারণের লক্ষণ এগুলো

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কোনো নারীর গর্ভধারণের ঘটনা মানেই যেন মাখা ঘোরানো আর বমি আসা। চিরাচরিত এই দৃশ্য থেকেই আমরা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সুখবরটি পেয়ে থাকি।

কিন্তু এ ঘটনাই শেষ কথা নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান গর্ভবতী হওয়ার আরো অনেক লক্ষণের কথাই বলে। সাধারণত বেশিরভাগ নারীদের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে একটা প্রশ্নই ঘোরাফেরা করে। তা হলো- ‘আমি কি গর্ভবতী?’ সাধারণ অভিজ্ঞ নারীদের মন্তব্য বা মেডিক্যাল পরীক্ষায় সন্দেহ দূর হয়। কিন্তু আরো কিছু লক্ষণে নারী নিজেই বুঝে উঠতে পারেন। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন তেমনই কিছু লক্ষণের কথা।

১. যেমন, নারীর স্তন বা স্তনবৃন্ত আরো বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। কিছুটা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। গর্ভধারণ বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে এগুলো বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

কিন্তু এসব বুঝতে অভ্যন্ত নই আমরা। এ অবস্থার সৃষ্টি হয় দেহে অতিমাত্রায় ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদনের ফলে। গর্ভবতী হওয়ার পর স্তন দুধ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। তখনই এমটা হয়।

২. আরেকটি অবস্থা রয়েছে। যাকে বলা হয় মর্নিং সিকনেস। বমি বমি ভাব। সকালবেলা বমি হয় অনেকের। তবে এটা দিনের যেকোনো সময় হতে পারে। দেহে অতিমাত্রায় হরমোন ক্ষরণের ফলে এমন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় হরমোন হজমপ্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে। কেবল যে বমি হয় তাই নয়, অবসাদ ভর করা থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য বা এসিডিটি দেখা দিতে পারে। ইস্ট্রোজেনের কারণে বিভিন্ন গন্ধে সংবেদশীলতা তৈরি হতে পারে।

৩. গর্ভধারণের পর অবসাদ গ্রাস করে নারীদের। এ সময় বাড়তি হরমোন এবং শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে দেহকে ব্যাপক কাজ করতে হয়। রক্তপ্রবাহের গতি বাড়ে। ভ্রূণ গঠনের জন্যে পুষ্টিপ্রবাহে ব্যাপক শক্তি খরচ হয়। এ সময়টাতে বাড়তি প্রোজেস্টেরন উৎপাদন অবসাদের জন্যে দায়ী থাকে।

৪. অতি সাধারণ লক্ষণটি হলো পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া। নারীরা এটাকেই প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দেখেন। এ লক্ষণ থেকেই প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করিয়ে নেন অনেকে।

৫. মূত্রের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এ সময়টাতে দেহে রক্তের পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। ফলে তার পরিশোধনে বাড়তি চাপ পড়ে কিডনির ওপর। ফরে মূত্রথলীতে বাড়তি চাপ পড়ে। ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয় গর্ভধারণের পর।

৬. ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। আগের মজার সব খাবার বিস্বাদ লাগে। খাবারের গন্ধও অসহ্য হয়ে উঠতে পারে। ক্ষুধামন্দা ব্যাপক আকার ধারণ করে।

৭. হরমোনের পরিবর্তনের কারণে আবেগ-অনুভূতি খুবই স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। উত্তেজনা, উদ্বেগ, উন্মাদনা, ভয় এবং আনন্দ সবকিছুই অতিমাত্রায় অনুভূত হতে পারে।

৮. অনেক নারীর ঘুমের আচরণ বদলে যায়। একেবারেই বদলে যায়। আগের সময়ে আর ঘুম হয় না।
সূত্র : ডক্টর