গর্ভধারণের তথ্য দেওয়া নিয়ে ক্রিকেটারদের ক্ষোভ

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

নারীদের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্যের ধারেকাছে কেউ নেই। বিশ্বকাপের ১০টি আসরের মধ্যে তাঁরা সাতবারের চ্যাম্পিয়ন। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও অসি নারীরাই। ওই দেশেই কিনা নারী ক্রিকেটারদের বিধি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড! রীতিমতো লিঙ্গ-বৈষম্যের দোষে দোষী হয়ে যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

 

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংস্থা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চুক্তির একটি ধারাই ক্ষেপিয়ে তুলেছে হিলি, লেনিং, ব্ল্যাকওয়েলদের।

 

রয়টার্স জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সময় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হয় ক্রিকেটারদের। ওই চুক্তির একটি ধারায় বলা হয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ক্রিকেটারদের নিশ্চিত করতে হবে যে তিনি গর্ভবতী নন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর যদি তিনি গর্ভবতী হন তবে তা দ্রুত যথাযথ ব্যক্তিকে (চিকিৎসক ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্দিষ্ট ব্যক্তি) জানাতে হবে।

 

অস্ট্রেলিয়ার প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন চুক্তির এ ধারাটি সামনে এনেছে এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছে, নারীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কারণেই চুক্তিতে ওই ধারার কথা বলা হয়েছে।

 

সিএ’র হাই পারফরম্যান্স প্রধান প্যাট হাওয়ার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমাদের কোনো মেয়ে যদি গর্ভবতী হয় তবে তাঁর ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

 

এসব বলে সিএ প্রাথমিক ধাক্কা সামলেছে বটে তবে আজ শনিবার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি। বলা হচ্ছে, ওই বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করা হবে। সেখানে গর্ভবতী, মাতৃত্বকালীন ছুটি, যত্ন বিষয়গুলো আসতে পারে। বিষয়টি সরকার পর্যন্ত গড়িয়েছে। যাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

 

সিএ’র প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা করব। এ ধরনের ব্যাপারে যেকোনো তদন্তকে স্বাগত জানাই। আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্যই আমাদের খেলোয়াড়দের সহযোগিতা করা।’

 

তবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া করায় ক্ষেপেছেন সিএ’র প্রধান সাদারল্যান্ড। তিনি বলেন, ‘এসিএ ইস্যুটি তুলে ধরায় আমরা হতাশ।’

সূত্র: এনটিভি