খুলনায় বিএনপির জনসভা ঘিরে পুলিশের কঠোর অবস্থান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:  খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় জনসভা ঘিরে কড়া অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোর থেকে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক, পুরাতন যশোর রোড, পিকচার প্যালেস মোড় ও কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাঁজোয়া গাড়ি অবস্থান নিয়েছে।
বিএনপি নেতারা জানান, পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের সামনের কেডি ঘোষ রোডের পশ্চিম পাশে সমাবেশের অনুমতি দিলেও সকাল থেকে সেখানে মঞ্চ তৈরি ও মাইক টানাতে বাধা দেয়। তবে শনিবার দুপুর একটার পর থেকে মঞ্চ তৈরি ও মাইক টানানো শুরু হয়। তারা অভিযোগ করেন, গতকাল শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকেআটক করা হয়েছে।
এদিকে, জনসভায় যোগ দিতে আজ দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী খুলনায় পৌঁছেছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া আগে থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু খুলনায় থেকে জনসভার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
এর আগে শহীদ হাদিস পার্কে একই দিন ও সময়ে বিএনপি ও মহিলা আওয়ামী লীগ জনসভা আহ্বান করায় উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে গতকাল শুক্রবার শহীদ হাদিস পার্ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জনসভার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শহীদ হাদিস পার্ক ও আশেপাশের এলাকায় সব ধরণের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জনসভা ভণ্ডুল করতে গ্রেফতার, হয়রানি ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। তারা দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, শত উস্কানি সত্ত্বেও বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সমানে শান্তিপূর্ণ জনসভা করবে। দুপুর ৩টায় এই জনসভার কার্যক্রম শুরু হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে কেন্দ্র ঘোষিত তৃতীয় পর্যায়ের কর্মসূচিতে খুলনায় আজ এই জনসভা আহ্বান করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
ইত্তফাক