নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা জমেছে। ট্যানারি মালিকরা রাজশাহী-নাটোর থেকে পশুর চামড়াগুলো কিনছেন। গরুর সবচেয়ে ভালো একটি চামড়া বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ‘লোকসান হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে লাভ কম হবে। আর খাসি বা কররির সব চামড়া বিক্রি হয়ে গেছে।’
জানা গেছে- কোরবানির পরে পশুর চামড়া লবণজাত করে সংরক্ষণ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। ট্যানারে বেশি দামে চামড়া বিক্রির আশায়। লকডাউনের পর থেকেই বিক্রি শুরু হয় চামড়া। এখন চামড়া কেনাবেচা জমেছে। তবে গোডাউনগুলোতে এখনও অনেক অবিক্রত পশুর চামড়া রয়েছে। সব বিক্রি হলে জানা যাবে এবছর কত টাকার পশুর চামড়া কেনাবেচা হলো।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী নগরে ও আশেপাশের এলাকায় কোরবানির গরুর চামড়া আকার ভেদে ব্যবসায়ীরা কিনেছেন ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। খাসির চামড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর বকরির চামড়া ১০ টাকা হলেও ভেড়ার চামড়া ২০ থেকে ২৫ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল। সেই হিসেবে খাসির চামড়ায় প্রতিটিতে ২৫ থেকে ৪০ টাকা লাভ হয়েছে ট্যানারে বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের।
বেলপুকুর এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুস জানান, লাভের আশায় পশুর চামড়া কেনার পরে গোডাউনে লবণজাত করে ব্যবসায়ীরা। লবণজাতেরও দু’সপ্তা পরে ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনতে আসে। বিক্রির আগে পর্যন্ত একটি গরুর চামড়ায় লবণ ও শ্রমিক মিলে আরও ৬০ থেকে ৭০ টাকা খরচ হয়। বর্তমানে একটি গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রকার ভেদে ২০০ টাকার বেশি থাকছে ব্যবসায়ীদের।
নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি শরিফুল ইসলাম জানান, ‘নাটোরের এ গ্রেডের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, বি গ্রেডের ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা ও সি গ্রেডের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
তিনি আরো বলেন, ট্যানারি মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা আসনেছেন, পশুর চামড়া কিনছেন। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্যান্ডেল কোম্পানীগুলোর প্রতিনিধিরা চামড়া কিনছেন। তবে তারা দাম বলতে চাচ্ছেন না।
চামড়া ব্যবসায়ী নেতা শরিফুল ইসলাম আরো বলেন, নাটোরের চামড়া বাজারে খাসির চামড়া নেই। সব বিক্রি হয়ে গেছে। তবে কিছু কাটা, ফুটা ও নরম মিলে ৫০ হাজার পিস খাসি-বকরির চামড়া আছে। সেগুলো বিক্রি হয়নি। এছাড়া প্রকার ভেদে খাসির চামড়া ট্যানারি মালিকরা কিনেছেন ৪০ থেকে ১১০ টাকা দরে।
স/আ