বৃহস্পতিবার , ২৫ অক্টোবর ২০১৮ | ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

খাশোগি হত্যা : অবশেষে মুখ খুলেছেন সৌদি যুবরাজ

Paris
অক্টোবর ২৫, ২০১৮ ২:১৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

সাংবাদিক জামাল খাশোগির নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবশেষে মুখ খুলেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগি হত্যার ঘটনাকে ‘জঘন্যতম অপরাধ’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, তাকে হত্যা করা অপরিহার্য ছিল না।

বৃহস্পতিবার ডেইলি মেইল ও সিএনএন জানিয়েছে, সৌদি আরবে চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনে বুধবার বিকেলে যুবরাজ এই মন্তব্য করেন। তিনি এ খুনের ঘটনায় দায়ী সব ‘অপরাধীকে’ সাজা দেওয়ারও অঙ্গীকার করেছেন।

কিন্তু খাশোগি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুরস্কের সঙ্গে কখনো কোনো বিরোধ হবে না বলে উল্লেখ করেছেন যুবরাজ। তুরস্কে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাশুগজি নিহত হওয়ার পর এটিই জনসম্মুখে মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রথম বক্তব্য।

গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে আর বেরিয়ে আসেননি। সেখানে নির্মমভাবে খুন হন খাশোগি।

প্রথমদিকে এই হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রথমে সৌদি আরব জানায়, কনস্যুলেটের ভেতরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে খাশোগি নিহত হয়েছেন। এরপরে তারা জানান, খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। রিয়াদ সরকার এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ভুল’ বলে স্বীকার করেছে। তবে এর সঙ্গে যুবরাজ সালমান জড়িত নন বলে জানান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর।

খাশোগি হত্যাকাণ্ডে শুরু থেকেই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ, যুবরাজের সমালোচক ছিলেন সাংবাদিক খাশোগি। এমনকি এ হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ওই হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য রাখেননি যুবরাজ। সৌদি আরবে চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রথম কথা বললেন তিনি।

যুবরাজ বলেন, ‘এই ঘটনা প্রত্যেক সৌদি নাগরিকের জন্য এমনকি গোটা বিশ্ববাসীর কাছে খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ অপরাধের পেছনে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের সাজা দিতে দুই দেশের সরকার (সৌদি আরব এবং তুরস্ক) সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে এবং শেষ পর্যন্ত যে ন্যায়বিচারই জয়ী হবে তা আমরা বিশ্ববাসীর সামনে প্রমাণ করে দেব।’

পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে তুরস্ককে সব ধরনের সহায়তার কথা বলেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে তুরস্ক ও সৌদি আরবের সরকারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অতুলনীয়।’

‘তবে আমরা এ-ও জানি যে, বেদনাদায়ক বিষয়টিকে (খাশোগি হত্যাকাণ্ড) কেন্দ্র করে অনেকে এ সম্পর্কে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছেন। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- যতদিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ সৌদি বাদশাহ হিসেবে আছেন, ততদিন কেউ তা করতে পারবে না। আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দেব যে, অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে আমরা পরস্পরকে সহায়তা করে যাচ্ছি।’

বিনিয়োগ সম্মেলনে ভবিষ্যতে সৌদি আরব কেমন হবে- সে বিষয়েও কথা বলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। ‘সৌদি আরব ‘তেল নির্ভরতা থেকে সরে আসবে। বিশ্বে আগামী পাঁচ বছরে সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে আবির্ভূত হবে দেশটি। সে সময় সৌদি আরব হবে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ইউরোপ’, -বলেন যুবরাজ।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক