শনিবার , ৩ মার্চ ২০১৮ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘খালেদা জিয়ার শাস্তি দুর্নীতির জন্য নয়, রাজনৈতিক কারণে’

Paris
মার্চ ৩, ২০১৮ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া শুধু রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়নি।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আলোচনা সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘পাঁচ বছর সাজা হলে এমনিতেই জামিন হয়ে যায়, এ ব্যাপারে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের অনেক সিদ্ধান্ত আছে। আমরা আশা করেছিলাম, সেদিনই (২৫ ফেব্রুয়ারি) তার (খালেদা জিয়া) জামিন হয়ে যাবে। যত কৌশল, যত ষড়যন্ত্রই করেন না কেন বেগম খালেদা জিয়া জামিন পেয়ে মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। তিনি মুক্ত হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা জেলে যাওয়ার আগে যা ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ হবে বলে আমি মনে করি।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সরকার তো শেষ সরকার না, তাদের একদিন বিদায় নিতে হবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে এই সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, শেয়ার বাজার লুট, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, ডেসটিনি কেলেংকারিসহ সংবাদপত্রে যেসব দুর্নীতির খবর বের হয়েছে এবং যত দুর্নীতি হয়েছে তার ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সেইদিন অবশ্যই তাদের বিচার হবে।’

নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমরা একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আজকে খবরের কাগজে দেখলাম তারা (নির্বাচন কমিশন) বলেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে কর্তৃত্ব গ্রহণ করবেন। আমাদের দেশে তফসিল ঘোষণা করা হয় নির্বাচনের দিনের ৪২ থেকে ৪৫ দিন আগে। ওই দেড় মাসে যে কোনো ধরনের নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কি প্রশাসন ঢেলে সাজানো সম্ভব? এই বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অক্ষম; যা কমিশন পরোক্ষভাবে দেশের মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি খরচে সারা দেশে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন অভিযোগ করে মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে সারাদেশে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আর যে দলের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করবে সেই দলের নেত্রী জেলখানায়, তার দল কোনো সভা সমাবেশ করতে পারে না। কী চমৎকার গণতন্ত্রের দেশ! সেজন্য মানুষেকে বোকা ভাবাটা ঠিক নয়। বাংলাদেশের মানুষ সব বোঝে, সব জানে। শুধু একবার যদি তারা ব্যালট বাক্সে একটি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় আপনাদেরকে জবাব দেবে।’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সরকার আজ উন্নয়নের কৃতিত্ব দাবি করে। কিন্তু দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তার কৃতিত্ব সরকারের নয়, দেশের মানুষের। দেশের অর্থনীতি মূলত যে তিনটি সেক্টরের উপর বেশি নির্ভর করে সেগুলো হলো কৃষি, বিদেশি রেমিট্যান্স ও পোশাক শিল্প। এ তিনটি খাত প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণ করেছে বিএনপি। এগুলোতে সরকারের কোনো অবদান নেই।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।

রাইজিংবিডি

 

সর্বশেষ - রাজনীতি