খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে খাদ্য উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবার আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।

তবে একই সঙ্গে তিনি এও জানান, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদনের চাকা সচল রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

কৃষিমন্ত্রীর তথ্যমতে, সরকারের নেয়া পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে স্বল্প পানি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদনের প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, বোরো ধানের চাষাবাদ কমিয়ে আউশ ধানের চাষ সম্প্রসারণ, জলমগ্নতাসহিষ্ণু ধানের আবাদ, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানো, কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, গম, ভুট্টা ও ডালজাতীয় ফসলের আবাদ বাড়ানো, পরিকল্পিত শিল্পায়ন, মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন, জ্বালানি সাশ্রয়, নতুন শস্যবিন্যাস প্রবর্তন, ভাসমান সবজি ও মসলা উৎপাদন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ প্রভৃতি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘দেশে আউশ ও আমন চাষাবাদে জমি পুনর্বিন্যাস, অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা এবং দেশি জাতের পরিবর্তে আধুনিক উচ্চফলনশীল ধানের আবাদ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে চাল উৎপাদন বহুলাংশে বাড়ানো সম্ভব। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে পরিমাণ উল্লেখ করা বাস্তবসম্মত নয়। তবে যুক্তিযুক্তভাবে কৃষিজমির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ২০৩০ সাল নাগাদ ২৫ লাখ টন বাড়তি চাল উৎপাদন করা সম্ভব।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী উৎপাদন খরচের তুলনায় কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য কম হওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে স্বীকার করেন। তবে একই সঙ্গে তিনি এ ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন। মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি বিপণন অধিদফতরের মাধ্যমে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।