খসড়া ঘোষণার মূল কথা, নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য আরো জোরদার করা

তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য সামনে রেখে গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনের খসড়া চুক্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (১০ নভেম্বর) সম্মেলনের দশম দিনে এই খসড়া প্রকাশ করা হয়। খসড়া ঘোষণার মূল কথা, ২০২২ সালের মধ্যে সরকারগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য আরো জোরদার করতে হবে। তাত্ক্ষণিকভাবে আন্দোলনকর্মী ও বিশেষজ্ঞরা এ খসড়াকে ভারসাম্যহীন আর অসম্পূর্ণ বলে সমালোচনা করেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথমবারের মতো কপের ঘোষণাপত্রে জলবায়ু সংকটে জীবাশ্ম জ্বালানির ভূমিকা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। তবে পরিবেশবাদীরা আশঙ্কা করছেন, সৌদি আরব, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া জীবাশ্ম জ্বালানির ভূমিকা গ্লাসগো ঘোষণা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাবে।

খসড়া ঘোষণায় ২০২২ সালের মধ্যে সরকারগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য আরো জোরদার করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে জলবায়ু সংকটের সঙ্গে লড়াইয়ে সক্ষম করতে আরো সাহায্য দরকার।

জলবায়ু সংকটে জীবাশ্ম জ্বালানির ভূমিকা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সরকারগুলোকে পর্যায়ক্রমে কয়লার ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করার গতি বাড়াতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তবে এ জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।

সমালোচকরা বলছেন, খসড়া ঘোষণা ভারসাম্যহীন। একদিকে এটি কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য  বিশদ প্রক্রিয়া তুলে ধরেছে, অন্যদিকে এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জোগান কিভাবে হবে, তা অস্পষ্ট।

নাইরোবিভিত্তিক থিংকট্যাংক পাওয়ারশিফট আফ্রিকার পরিচালক মোহাম্মদ আদো বলেন, ‘এটি খুবই একমুখী একটি নথি। জলবায়ু দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর জন্য এখানে কিছু নেই।  গরিব দেশগুলো কিভাবে জলবায়ু সংকট মোকাবেলা করবে, অর্থের জোগান কে দেবে- এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু এখানে নেই।’

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক জেনিফার মরগান সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই খসড়া চুক্তি জলবায়ু সংকট নিরসনের কোনো পরিকল্পনা হতে পারে না। এটি হলো দেশগুলোর কাছে একটি নমনীয় অনুরোধ- দয়া করে আগামী বছর কিছু করো।’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ