সিল্কসিটিনিউজ বিনোদন ডেস্ক :
সৈয়দ আবদুল হাদী। বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী। আজ ঢাকা ক্লাবে প্রদর্শিত হবে তাকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্য লেজেন্ড সৈয়দ আবদুল হাদী’। একই সঙ্গে প্রকাশিত হবে শিল্পীর কালজয়ী গানের চারটি সংকলন। প্রামাণ্যচিত্র, অ্যালবাম ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি-
জনপ্রিয় গানের সংকলনে চলচ্চিত্রের পরিবর্তে আধুনিক গানকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ কী?
চলচ্চিত্রের গানগুলো আলাদা করে সংগ্রহের প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু ষাট, সত্তর ও আশির দশকে বেতার ও টিভিতে এমন কিছু আধুনিক গান গেয়েছি, যার আবেদন এখনও আছে; কিন্তু গান সংগ্রহ বা শোনার কোনো সুযোগ নেই। এ জন্য ‘দ্য লেজেন্ড সৈয়দ আবদুল হাদী’ অ্যালবামে কয়েক দশকের জনপ্রিয় আধুনিক গান রেখেছি।
পুরনো গানগুলোর সঙ্গীতায়োজন কি নতুন করে করা?
কিছু গানের সঙ্গীতায়োজন নতুন করে করলেও কথা, সুর, সঙ্গীত বাদনে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। রকেট মণ্ডল সঙ্গীতায়োজনে অ্যাকুষ্টিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করেছেন। বাকি গানগুলো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। যেসব গানের রেকর্ড বা ক্যাসেট প্রকাশ পায়নি তা সংগ্রহ করা ছিল কঠিন একটি কাজ। আমি কৃতজ্ঞ সেসব বন্ধু ও ভক্তদের কাছে, যারা এ দুঃসাধ্য কাজটি করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। তার পাশে ছিল বলেই দেড় বছরের প্রচেষ্টায় অর্ধ শতাধিক গান সংগ্রহ করতে পেরেছি। সেখান থেকে নির্বাচিত গান ৪৬টি নিয়ে এই সংকলন।
পুরনো গানগুলো এ সময়ের শ্রোতাদের মনে দাগ কাটবে বলে কি মনে করেন?
নিজের শিল্পবোধ তুলে ধরতে আধুনিক গান করেছি, যার অনেক গান শ্রোতাদের মনে দাগ কেটেছে। আমার মনে হয়, যারা শ্রুতিমধুর গান পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগার মতো নির্যাস এ অ্যালবামের গানগুলোয় আছে।
আপনাকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে আপত্তি করেছিলেন, কারণ কী?
সাদাত হোসাইনের আগেও অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাজি হইনি। কারণ আমি মনে করি, প্রামাণ্যচিত্র হওয়ার মতো যোগ্যতা আমার হয়নি। অ্যালবামের অংশ হিসেবে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে চাওয়ায় শেষমেশ রাজি হয়েছি।
সূত্র : সমকাল