ক্ষুব্ধ মালিঙ্গা বিশ্বকাপের আগেই অবসরে?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নিয়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে জলঘোলা ভালোই শুরু হয়েছে। আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে লাসিথ মালিঙ্গাকে। তার জায়গায় ওয়ানডেতে চার বছর পর ফেরা দিমুথ করুণারত্নেকে করা হয়েছে অধিনায়ক। এতেই চটেছেন মালিঙ্গা। এই কারণেই হয়তো বিশ্বকাপের ঠিক আগেই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার ইঙ্গিত দিলেন এই বর্ষীয়ান গতি দানব! মালিঙ্গার এমন ইঙ্গিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।

গত দুই বছরে মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, দীনেশ চান্দিমাল, থিসারা পেরেরার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের দল বাছতে বসে নির্বাচকরা করুণারত্নেকেই ক্যাপ্টেন বেছে দেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন দিমুথ করুণারত্নে। মাঝের ৪ বছরে ওয়ানডে দলেই জায়গা হয়নি করুণারত্নের। এদিকে মালিঙ্গার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে নাকানি-চুবানি খায়। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, মালিঙ্গার হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন থাকবে না।

নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট মালিঙ্গা। করুণারত্নের নেতা হওয়ার খবর তার কানে পৌঁছতেই শ্রীলঙ্কার পেসার অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত একপ্রকার নিয়েই ফেলেন। অধিনায়ক নির্বাচন করতে বসার ঠিক আগে শ্রীলঙ্কার মুখ্য নির্বাচক মালিঙ্গাকে ফোন করেন। দ্বীপরাষ্ট্রের বোলারের কাছে তিনি জানতে চান, অধিনায়ক না হলে তিনি বিশ্বকাপে খেলবেন কি না।

মুখ্য নির্বাচকের সঙ্গে কথা বলার এক ঘণ্টা পরেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজে মালিঙ্গা লিখেন, ‘মাঠে আমাদের আর হয়তো দেখা হবে না। আমার পাশে যারা ছিলেন, ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুন।’ মালিঙ্গার অবসরের ইঙ্গিতের খবর প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কান বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, ‘কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে মালিঙ্গা তা স্পষ্ট নয়। মনে হচ্ছে ও নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছে। তবে মালিঙ্গার বোঝা উচিত, দেশের হয়ে খেলা নেতৃত্বের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওর নেতৃত্ব ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ১৩টিতেই হেরেছে লঙ্কা।’