ক্ষমা চাওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে অব্যাহতি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ ও ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মিজানুর রহমান।

 

রোববার বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেন।

 

আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. ইয়াছিন।

 

এর আগে গত ২৬ নভেম্বর কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও মো. শাহনেওয়াজ হাইকোর্টে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জমা দেন।

 

গত ৭ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এক আবেদনে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারচুপির কারণে ভোট বাতিল বা পুনঃনির্বাচনের আবেদন করেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম।

 

আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৬ নম্বর চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম সিইসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

 

৩০ দিনের মধ্যে এ অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্যে ১৬ জুন রুল জারিসহ আদেশ দেন আদালত।

 

অভিযোগের নিষ্পত্তি হিসেবে ১৮ জুলাই প্রার্থীকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পরামর্শ দেয় ইসি।

 

ইউপির ফল গেজেটে প্রকাশ না হওয়ার আগেই ইসির আদালতে যাওয়ার পরামর্শের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেন অভিযোগকারী।

 

জাহিদুল ইসলাম ইসির এ চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনাসহ সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার ও সিনিয়র সহকারী সচিবের আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন।

 

এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ অগাস্ট প্রধান নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালত অবমাননার জন্য সংশ্লিষ্টদের হাজির হয়ে তা ব্যাখ্যা করার জন্যও আদেশ দেন আদালত।

 

তবে সাংবিধানিক সংস্থা বিবেচনায় তাদের আইনজীবী বা প্রতিনিধির মাধ্যমেও ১৪ নভেম্বরের মধ্য ব্যাখ্যা দিতে কমিশনকে নির্দেশ দেন আদালত।

সূত্র: রাউজিংবিডি