ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

করোনা ভাইরাসের কারণে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতি। দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য নেতিবাচক হওয়া সত্ত্বেও এ সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। কারণ সর্বপ্রথমে প্রয়োজন নিরাপদ থাকা। করোনা এখন বৈশ্বিক মহামারী। সচেতন হলে এটা মোকাবিলা সম্ভব।

আমি আমার ভক্ত-দর্শককে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি- খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। বারবার হাত পরিষ্কার করবেন। মুখে-নাকে হাত দেওয়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

আমাদের চলচ্চিত্রে অনেক বড় দাগের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। চলতি বছর এ পর্যন্ত আমার দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে একটি কাজী হায়াত পরিচালিত ‘বীর’, অন্যটি শামিম আহমেদ রনির ‘শাহেন শাহ’। বীর ছবিটি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগেই মুক্তি পেয়েছিল। ফলে প্রযোজকের আর্থিক ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ‘শাহেন শাহ’ মুক্তি পাওয়ার পরপরই দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফলে দর্শক কম হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছেন হল মালিক ও প্রযোজক। আমাদের সিনেমা ব্যবসা মূলত দুই ঈদকেন্দ্রিক। কিন্তু যে অবস্থার দিকে যাচ্ছে তাতে কিছুদিন পর মনে হয় ঘর থেকেই বের হওয়া যাবে না, উচিতও হবে না। শুনেছি ঈদে আমার অভিনীত শাহীন সুমন পরিচালিত ‘বিদ্রোহী’ ছবিটি মুক্তির তালিকায় আছে। এর মধ্যে যদি সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই ভাইরাস থেকে মুক্তি দেন তা হলে হয়তো ছবি মুক্তির জটিলতা কমবে, কমবে ক্ষতির পরিমাণ। তারপরও যে ক্ষতি এই কয় মাসে হবে, সেটা পোষাতে অনেক বেগ পেতে হবে। এ জন্য চলতি বছরের বাকি প্রতি সপ্তাহগুলোয় নতুন ছবি মুক্তি দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।