ক্রিকেটে সন্দেহভাজন বোলিং শোধরাতে উদ্যোগ

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

বাংলাদেশে সন্দেহজনক’ বোলিং অ্যাকশনের জন্য চিহ্নিত কয়েকজন ক্রিকেটারের বোলিং শোধরানোর প্রক্রিয়া আজ শুরু করছে বিসিবি।

সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ‘সন্দেহজনক’ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে ১১ জন বোলারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছিল।

সেখান থেকে কয়েকজনকে নিয়ে আজ থেকে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বোলিং রিভিউ কমিটি।

এখানে অ্যাকশন সংশোধনে ব্যর্থ হবেন যারা, ভবিষ্যতে তাদের খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে।

কারণ এরপরও অবৈধ বা সন্দেহভাজন অ্যাকশন থাকবে যেসব বোলারদের তাদের ব্যাপারে বিসিবি কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।

রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, “আমরা চাই না, একজন অবৈধ বোলার দীর্ঘদিন ধরে খেলা চালিয়ে যাক।’

আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন বোলারকে বোলিং অ্যাকশনের শুদ্ধতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম বোলিং করতে হয়।

বিসিবি’র বোলিং রিভিউ কমিটিও সেই নিয়ম অনুসরণ করবে বলে জানানো হয়েছে। আধুনিক সরঞ্জাম না থাকলেও এই পদ্ধতিতে ত্রুটি বের করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে বিসিবি।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বোলিং অ্যাকশনে আসলে সমস্যা কোথায়?

আন্তর্জাতিক আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ বলেন, “মূলত খালি চোখে দেখে যে সন্দেহ হয় তার ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হয়। গাইডলাইন আইসিসি থেকে আসে। আমাদের বলা হয়, যদি বিন্দুমাত্র যদি সন্দেহ হয় তখন রিপোর্ট করতে বলা হয়। তখন কারগরিভাবে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়”।

গত মার্চে ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপের মাঝপথে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। তাতে করে ওই আসরে বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাক অনেকখানি দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

মিস্টার শহীদ বলেন, “তারা যখন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছিলেন তখন যদি বিষয়টি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হতো তাহলে বিষয়টি একটি আন্তর্জাতিক আসরে গিয়ে এভাবে উঠে আসতো না”।

কিন্তু বোলিং অবৈধ কিংবা সন্দেহজনক হচ্ছে কি-না সেটা খেলোয়াড়রা নিজেরা কতটা বুঝতে পারেন?

এমন প্রশ্নে আম্পায়ার শহীদ বলেন, “সত্যি কথা বলতে কি কেউ কেউ জানেন। তবে যাদের কাছ থেকে তারা কোচিং পাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে তারা কতটা কি জানছেন সেটা আমার জানা নেই। তারা যদি এসব বিষয় নজরে নিয়ে তাদের বলতেন যে তোমার বোলিং অ্যাকশনটা সাসপেক্টেড তাহলে তারা অল্পবয়স থেকে সেটা জানতে পারতো এবং সেভাবে অ্যাকশন পাল্টাতে পারতো”।

বাংলাদেশে অনেক ক্রিকেট একাডেমী হয়েছে, ক্লাবের খেলা হচ্ছে, কোচিং হচ্ছে। “স্কুল লেভেলে বা প্রাথমিক পর্যায়ে যারা কোচিং করান তাদের নলেজে যদি এটা দেয়া হতো তাহলে তারা হয়তো সেভাবে কোচিং করতে পারতেন” বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা