ক্রিকেটার শাহাদাতের মামলার রায় ৬ নভেম্বর

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার কাজী শাহাদাত হোসেন রাজীব এবং তার স্ত্রী জেসমিন জাহান ওরফে নিত্যর বিরুদ্ধে রায়ের জন্য আগামী ৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার পাঁচ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল রায়ের জন্য এদিন ঠিক করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ওই ট্রাইব্যুনালের পিপি আলী আসগর স্বপন, রাজধানী মানবাধিকার সংস্থার পক্ষে সৈয়দ নাজমুল হুদা এবং মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে ফাহমিদা আক্তার রিংকি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।

পিপি আলী আসগর স্বপন বলেন, ‘আসামিদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাহফুজার ওপর নির্যাতন করা হয়। তাহলে তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আত্মপক্ষ শুনানি করেন শাহাদাত এবং তার স্ত্রী।

মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪(২) খ ধারায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১২ জানুয়ারি মামলাটি ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ঢাকার পাঁচ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪(২) খ ধারা অনুযায়ী বিচারে শাহাদাত এবং নিত্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৪ বছরের এবং সর্বনিন্ম ৭ বছরের কারাদ- হতে পারে।

মামলাটিতে গত বছর ৪ অক্টোবর শাহাদাতের স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত বছর ৫ অক্টোবর শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তারও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ৮ অক্টোবর শাহাদাতকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

গত ১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ নিত্যর এবং গত ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট শাহাদাতের জামিন মঞ্জুর করলে তারা কারামুক্ত হন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবীর সাংবাদিক কলোনির ৩ নম্বর সড়কের মাথায় শাহাদাতের বাড়ির গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে (১১) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে শাহাদাতের বিরুদ্ধে ওই রাতেই মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর হ্যাপি আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দেয়।

সূত্র: রাইজিংবিডি