ক্যালিওগ্রাফি-হ্যান্ডরাইটিংয়ের মাধ্যমে গিনেস বুকে নাম লিখাতে চান গোমস্তাপুরের সিফাত


গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি :

ক্যালিগ্রাফি ও হ্যান্ড রাইটিংয়ে দেশ বিদেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন সিফাতুল্লাহ ইসলাম। তাঁর ইচ্ছে গিনেস বুকে রেকর্ডে নাম লেখানো। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় ৫টি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর লেখার প্রতিভা দেশ-বিদেশে সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। সিফাতুল্লাহ ইসলাম রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। বাবা শরিফুল একজন স্কুল শিক্ষক। জন্মসূত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের বাসিন্দা কিন্তু বর্তমানে বাস করছেন রহনপুর পৌর এলাকার একটি বাসা বাড়িতে।

জানা গেছে, সিফাতুল্লাহ ছোট বেলা থেকে মেধাবী। বোর্ড পরীক্ষার প্রতিটিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে বিভিন্ন ধরণের ফন্টের লেখার কৌশল বিষয়ে অবগত হন। শুরু করেন লেখালেখি। চেষ্টা করতে থাকেন, সফলও হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ইউটিউব দেখে ভূলগুলো সংশোধন করেন। এছাড়া ক্যালিগ্রাফি লেখাগুলো উপলব্ধি করেন। কিছুদিনের মধ্যে ক্যালিগ্রাফি লেখায় পারদর্শী হয়ে যান। এখন সে ৬ থেকে ৭ রকমের ফন্ট লিখতে পারেন এবং দক্ষতা অর্জন করেছে। সিফাতুল্লাহ রাইটিং একাডেমির ফাউন্ডার ও calligrapher এবং calligraphy and handwriting নিয়ে কাজ করছেন। সাথে শিখিয়ে যাচ্ছেন।

সিফাতুল্লাহ বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরণের ফন্টের লেখার চেষ্টা করি। লিখার সময় প্রথমে সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে চেষ্টার সঙ্গে সফল হয়েছেন। তিনি জানান ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় হতে বিভিন্ন ফন্টে লেখার আগ্রহ জাগে তাঁর। চেষ্টা করতে থাকি। করোনা কালীন কলেজ বন্ধ হলে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে ক্যালিগ্রাফি হ্যান্ড রাইটিং উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সে জয়লাভ করেন। পুরস্কারসহ সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন। ইউটিউব চ্যানেল ও টিকটক এ্যাকাউন্ট হাতের লেখা ভিডিও বানিয়ে দেশ-বিদেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন । আস্তে আস্তে ফলোয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সে জানান। এছাড়া অল্প বয়সে বিভিন্ন হ্যান্ডরাইটিং ইভেন্টে এ বিচারক হিসেবে ও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া হ্যান্ড রাইটিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্য। সে চেষ্টা করছেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখাতে। এতে সব ধরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সিফাতুল্লাহ ।

তাঁর শিক্ষক আশিকুর রহমান সাগর বলেন, ছাত্রাবস্থায় সিফাতুল্লাহ অসাধারণ ক্যালিগ্রাফি ও হ্যান্ড রাইটিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। হাতের লেখাও সুন্দর। এদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
বাবা শরিফুল ইসলাম জানান, ছোটবেলা থেকে তাঁর ছেলে শান্ত প্রকৃতির। অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র সিফাতুল্লাহ ইসলাম । সব পরীক্ষায় ভাল ফল করে উত্তীর্ণ হয়। ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি পান। লেখার প্রতি আগ্রহ দেখে চীন ও ভারত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কলম ও কালি কিনে দেয়। ক্যালিগ্রাফি ও হ্যান্ড রাইটিং এর উপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারী হয়েছে দেখে বাবা হিসেবে আমি গৌরবান্বিত । ভবিষ্যতে তাঁর সাফল্যের জন্য সে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

এএইচ/এস