কোরবানির গরুর একটু বেশি দাম হলে দরিদ্র খামারিরাই পাবেবেন- অভিনেতা ডা. এজাজ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
কোরবানির গরুর দাম একটু বেশি হলেই ভালো। গতকাল (ঈদের আগের দিন) এমনটাই মন্তব্য করেছেন ‘গরীবের ডাক্তার’ বলে খ্যাত ডা, এজাজুল ইসলাম।

ঈদের আগেরদিন এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘যে মানুষটি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনতে পারছেন তিনি ৫৫ হাজার টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন। যিনি ২ লাখ টাকা দিয়ে কিনছেন তিনি ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন।’

এই বাড়তি টাকাটি সেই দরিদ্র খামারী বা কৃষকই পাবে। যিনি সারা বছর যত্ন করে গরুটিকে সন্তানের মতো লালন পালন করেছেন কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য। তার গরুটা একটু বেশি দামে কিনলে ক্ষতি কী?

এভাবেই নিজের মতামত জানালেন ডা. এজাজ।

তিনি বলেন, আপনারা ঈদের ২-৩ দিন আগে গরু কিনে সেটার যত্ন নেন, তখনই বুঝে যান যে এই কাজটি কত কষ্ট ও সময়সাপেক্ষের। এই দুই দিনেই গরুর দেখভাল করতে হাপিয়ে ওঠেন। আর যারা সার বছর জুড়ে আপানার কোরবানির জন্য গরুর যত্ন করে তাদের কেমন কষ্ট করতে হয়!’

এজাজ আরও বললেন, ‘এতো গেল পালনের বিষয়টি। এছাড়া হাটে গেলে টের পাওয়া যায় যে কত কষ্ট করে রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে কোরবানির পশু বিক্রি করেন ব্যাপারিরা। হাটে পাইকারী গরু ব্যবসায়ীরা ছাড়াও হাজার হাজার গৃহস্থরাও আসেন নিজের গরু বিক্রি করে কিছু মুনাফা পেতে।’

তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে একটু বেশি দামে গরু কিনলে কষ্ট লাগার কথা নয় বলে জানান তিনি।

টিভি পর্দায় তুমুল জনপ্রিয় একটি মুখ ডাক্তার এজাজুল ইসলাম। এজাজুল ইসলাম মানেই বিনোদনে ঠাসা নাটক।

অভিনয়ের পাশাপাশি চিকিৎসক হিসাবেও তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।

গরিবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা।

বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সরকারি দায়িত্ব পালন করে গাজীপুরে নিজের চেম্বারে সেখানকার মানুষদের চিকিৎসা দেন এজাজ। অসহায় গরিব মানুষদের চিকিৎসা করতে খুবই অল্প পরিমাণ টাকা ভিজিট নিয়ে থাকেন তিনি। তাই সবাই তাকে ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে ডাকেন।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও কোরবানি ঈদ ঢাকাতেই করছেন ডা. এজাজ।