কেন জাতীয় নেতারা এক মঞ্চে হলো: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কেন বিভিন্ন জাতীয় নেতারা এক মঞ্চে হলো? তার কারণ এখন গণতন্ত্র নিখোঁজ। গণতন্ত্র ফেরাতে আমরা একসাথে হয়েছি।
আজ শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার অধীনে নির্বাচন, শেখ হাসিনাকে রেখে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে আপনারা ভোট দিতে পারবেন? শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে গেলে শেখ হাসিনা আজীবন প্রধানমন্ত্রী আর খালেদা জিয়া আজীবন জেলখানায়। তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন না।তাকে কারাগারে রেখে আপনারা নির্বাচনে যাবেন? সাত দফা না মানলে আপনারা নির্বাচনে যাবেন?

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত আছেন, বিএনপি মহাসচিব জনসভার প্রধান আলোচক মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

তবে, অসুস্থতার কারণে সমাবেশে যোগ দেবেন না ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন।

এছাড়া জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর এ্যানি, নির্বাহী সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।

এদিকে, দুপুরের পর থেকেই জনসভা স্থলে আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে তার মাদ্রাসা ময়দানে যোগদান করেন।  বাস না থাকায় আশেপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে লোকজন আসে।  রাজশাহী অভিমুখী নেতাকর্মীরা আসতে পদে পদে সমস্যায় পড়েছেন বলে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন সমাবেশ পরিচালনা করছেন।

স/অ