কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণে কাজ করছে সরকার: রাজশাহীতে কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামীতে কৃষক ধানের নায্য মূল্য পাবে ও কৃষিকে লাভজনক করা হবে। এজন্য কৃষিকে বাণিজ্যকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কাজ করছে সরকার। এই চ্যালেঞ্জগুলো আগামী পাঁচ বছরে সরকার পূরন করতে পারবে বলেও মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাজশাহীতে সেকেন্ড বারিন্দ এগ্রো-ইকো ইনোভেশন রিসার্চ প্লাটফর্ম বিষয়ক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সের আয়োজন করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। গ্রামে বিদ্যুত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটছে। গ্রামাঞ্চলে এখন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি করা গেলেই উন্নত জীবনের আশায় কেউ আর গ্রাম ছাড়ার কথা ভাববে না। এভাবেই গ্রাম হবে শহর।

মন্ত্রী রাজশাহীর বিশাল বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির চাহিদা তুলে ধরে বলেন, সরকার কৃষককে মানসম্মত সার ও বীজ দিচ্ছে। তবে পানি না থাকলে চাষ হবে না। একসময়ের সর্বনাশা পদ্মাকে এখন কাজে লাগিয়ে এর পানি খরা প্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানি সেচ কাজে লাগাতেও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক সময়ের অনবাদী বরেন্দ্রের মাটিতে এখন বছরে চারটি পর্যন্ত ফসল উৎপাদন হচ্ছে।

বিএমডিএ এর চেয়ারম্যান ড. আকরাম এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান প্রমুখ। সেমিনারে নিবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা করেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. সাত্তার মন্ডল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য ড. চৌধুরী সারোয়ার জাহানসহ কৃষিবিদ ও গবেষকগণ।

স/শা